নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কি জীবিত নাকি মৃত? এই প্রশ্নে আজ তোলপাড় হয়ে গেল গোটা দেশ। কারণ এই প্রশ্নের উত্তর কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তাতে যে নরেন্দ্র মোদী সরকারের অস্বস্তি বাড়ল তেমনই মনে করা হচ্ছে। কারণ মাঝেমধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা নেতাজির মৃত্যুদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে থাকেন। সুতরাং জন্ম এবং মৃত্যু দুটোই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে থাকা উচিত বলে মনে করে কলকাতা হাইকোর্ট।
এবার এই নিয়ে সুস্পষ্ট তথ্য জানাতে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে নেতাজি ইস্যুতে একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। এমনকী নেতাজি জীবিত না মৃত, তা দু’মাসের মধ্যে হলফনামা দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে জানাতে বলেছেন।
আদালত সূত্রে খবর, এই বিষয়ে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন হরেন বাগচী নামে এক ব্যক্তি। ভারতীয় টাকায় নেতাজির ছবি ব্যবহার করা যায় কি না, তাও কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছেন তিনি। আজ সেই মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই মামলাকারীর আবেদন মেনে নিয়ে নির্দেশ দেন বিচারপতিরা যে, ভারতীয় টাকায় নেতাজির ছবি ব্যবহার করা যায় কি না, হলফনামায় জানাতে হবে কেন্দ্রকে। একইসঙ্গে দেশের জনগণের স্বার্থে নেতাজি জীবিত না মৃত তাও হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে।
১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট তাইওয়ান বিমান দুঘর্টনায় নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল কি না, তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক রয়েছে। একের পর কমিশন বসেছে। যার মধ্যে মুখার্জি কমিশন সবচেয়ে বেশি আলোচিত। তার মধ্যে গত অগস্ট মাসে নেতাজির ‘মৃত্যুবার্ষিকী’–তে শ্রদ্ধা নিবেদন করে অস্বস্তিতে পড়েছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এবার এই মামলার নির্দেশে মোদী সরকার কি উত্তর দেয় সেটাই দেখার।