কলকাতায় আন্তর্জাতিক বইমেলা শেষবার হয়েছিল ২০২০ সালে। ২০২১ সালে কোভিডের বাড়বাড়ন্তের কারণে বইমেলার অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। এ বছরও কোভিডের বাড়বাড়ন্ত থাকায় বইমেলায় অনুমতি পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। তবে উদ্যোক্তাদের সেই সংশয় কাটিয়ে এ বছর বইমেলায় অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে পূর্বনির্ধারিত ৩১ জানুয়ারি বইমেলা আদৌও হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
বুক সেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদীপ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'এ বছর রাজ্য সরকার বইমেলার অনুমতি দিয়েছে। তবে কোভিডের বাড়বাড়ন্তের কারণে সে ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধিনিষেধ বেঁধে দিয়েছে সরকার। পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে বইমেলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ৩১ জানুয়ারি বইমেলা হবে কি না তা এখনই বলা সম্ভব নয়।'
তবে রাজ্য সরকার বইমেলার অনুমতি দিলেও তাতে অবশ্য খুব বেশি খুশি নন প্রকাশনী সংস্থার অনেকেই। কোভিডের মধ্যে বইমেলা হলে সেক্ষেত্রে ক্রেতা আদৌও হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বলে তারা মনে করছেন।
বিশেষ করে ছোট প্রকাশনা সংস্থার অনেকেই মনে করছেন, মেলায় স্টল সহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করতে যে খরচ হয় তা উঠবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। সেই সঙ্গে, কোভিড পরিস্থিতি থাকার কারণে এবছর বিদেশিদের ভিড় একেবারেই হবে না তা স্বীকার করে নিয়েছেন গিল্ড কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, বিদেশ থেকে কোনও নাগরিক আসলে সেক্ষেত্রে তাকে প্রথমে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তার ওপর বিভিন্ন দেশে বিধিনিষেধ রয়েছে। এই অবস্থায় বিদেশিদের ভিড় না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এবারের বইমেলার থিম বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন কর্তারা।
সব মিলিয়ে এক বছর বন্ধ থাকার পর এ বছর আবার বইমেলা হওয়ায় খুশি অধিকাংশই প্রকাশনী সংস্থা। প্রকাশনা সংস্থার একাংশ সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। অন্তত মেলা হচ্ছে এটাই তাদের কাছে বড় বিষয়। প্রসঙ্গত, কোভিডের কারণে এবারের বইমেলায় স্টলের আয়তন অনেক ছোট করা হয়েছে। সেইসঙ্গে কোভিড বিধি মেনে চলার জন্য বইমেলায় প্রতিনিয়ত প্রচার চালানো হবে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে।