করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শিউরে ওঠার মতো খবর এল কলকাতার প্রাণকেন্দ্র আর্মহাস্ট স্ট্রিট থেকে। প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় দু’দিন এয়ার কন্ডিশনিং বক্সে পড়ে রইল করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের দেহ। ঘটনায় শোরগোল পড়েছে কলকাতা পুরসভা ও স্বাস্থ্য ভবনের অন্দরে।
মৃতের পরিজনরা জানিয়েছেন, শনিবার থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই বৃদ্ধ। সোমবার দুপুরে এক চিকিৎসকের চেম্বারে তাঁকে দেখানো হয়। চিকিৎসক করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দিলে বৃদ্ধের নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হয়। এরইমধ্যে বাড়ি ফিরে এসে আরও অসুস্থ পড়েন বৃদ্ধ। হাসপাতালে ভরতির তোড়জোড়ের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়।
বৃদ্ধের পরিবারের দাবি, স্থানীয় থানায় জানানোর পর পার্ক স্ট্রিটের একটি বেসরকারি মর্গে বৃদ্ধের নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু করোনা সন্দেহভাজনের দেহ রাখতে অস্বীকার করে মর্গ কর্তৃপক্ষ। ভবানীপুর এবং রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডের দুটি মর্গও তাঁর দেহ রাখতে চায়নি। এই অবস্থায় ফ্ল্যাট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে নিজেদের আবাসনেই বৃদ্ধের দেহ রাখার ব্যবস্থা করা হয়। পুরো বিষয়টি থানায় জানানো হয়েছিল বলে দাবি বৃদ্ধের পরিবাবের। যদিও এক পুলিশকর্তার পালটা দাবি, বৃদ্ধের পরিবার মিথ্যা বলছেন এবং তা প্রমাণ করে দিতে পারে পুলিশ।
তারইমধ্যে মঙ্গলবার সকাল থেকে বেসরকারি ল্যাবে ছিলেন পরিবারের লোকজন। রাত ১০ টা নাগাদ রিপোর্ট পেয়ে দেখা যায়, বৃদ্ধ করোনা পজিটিভ ছিলেন। সৎকারের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে পরদিন গড়িয়ে যায়। শেষপর্যন্ত বুধবার দুপুরের দিকে পুরসভার তরফে গাড়ি পাঠিয়ে দেহ নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
ফ্ল্যাট ওনার্স অ্যসোসিয়েশনের দাবি, মর্গে দেহ রাখার বিভিন্ন জায়গায় ফোন করা হয়েছিল। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যদিও পুরসভার দাবি, বুধবার সকাল ১১ টার পর তাঁরা খবর পান। তারপর স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে।