রাত পোহালেই সাধারণতন্ত্র দিবস। তার আগেই সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য–রাজনীতি। একেবারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নিশানা করে বসলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র। এখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হচ্ছে সুকান্ত মজুমদার। আর রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে কার্যত মাতাল বলে উল্লেখ করলেন। আর এই মন্তব্য নিয়ে এখন বিস্তর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সাধারণতন্ত্র দিবসের ট্যাবলো প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য নিয়ে খোঁচা দিলেন ফিরহাদ। আর তা দিতে গিয়েই রেগে গিয়ে এমন মন্তব্য করলেন। যা নিয়ে এখন চর্চা তুঙ্গে।
এদিকে আগেও সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে খোঁচা দিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু তা নিয়ে তেমন বিতর্ক তৈরি হয়নি। কিন্তু এবার বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, ‘সুকান্ত মজুমদার বেশি মদ খান তাই সবদিকে মদ দেখছেন।’ এভাবে সরাসরি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে নিশানা করার জেরে বিতর্ক বেঁধে গিয়েছে। সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সরকারের উদ্যোগগুলি নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। তখন বলেছিলেন, ‘নতুন বোতলে পুরনো মদ’। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই পাল্টা দিলেন ফিরহাদ।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী বদল করল রাজ্য সরকার, কে পেলেন নতুন দায়িত্ব? চর্চা তুঙ্গে
অন্যদিকে কদিন আগে ছেলেকে হিন্দু বানানোর নিদান এবং বাড়িতে অস্ত্র রাখার মত দেওয়ায় বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছিল। সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, ‘ছেলেদের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার যা বানানোর বানান। কিন্তু আগে ভাল হিন্দু বানান। যে নিজে ধর্মের প্রতি সমর্পিত হবে। আর বাড়িতে একটা করে ধারালো অস্ত্র রাখুন। নিজের ধর্ম–সংস্কৃতি রক্ষা করতে না পারলে ডাক্তার, ব্যারিস্টার যাইহোক, বাস্তবে অন্য কোথাও যেতে হবে তাঁকে। ধর্ম রক্ষায় একজোট হতে হবে। এলাকায় মন্দির তৈরি করুন।’ তারই পাল্টা ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য ছিল, ‘প্রথমে আপনারা ভারতীয় তৈরি করুন। মানুষ তৈরি করুন। এই বার্তা আসা উচিত। আমরা ভারতের মানুষ বিশ্বাস করি সর্ব ধর্ম সমন্বয়।’
আরও পড়ুন: ‘প্রথমে আপনারা মানুষ তৈরি করুন’, হিন্দু বানানো–অস্ত্র রাখা নিয়ে সুকান্তকে পাল্টা ফিরহাদ
এছাড়া অতীতের এই মন্তব্য নিয়ে বিশেষ বিতর্ক তৈরি হয়নি। যা হয়েছিল সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য নিয়ে। এবার ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, ‘সুকান্ত মজুমদার নিজেও হয়তো মদ খান। তাই মদটা ওনার বেশি প্রিয়। আমরা লক্ষ্মীর পুজো করি। মা–বোনরা আমাদের লক্ষ্মী। ওনারা যে কালচারে বিশ্বাস করেন সেখানে মহিলাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নেই। আমাদের বাংলায় বিবেকানন্দ, নেতাজি সুভাষচন্দ্রের বাংলায় সেই স্বাধীনতা আছে। উনি বিজেপিতে নিজের পায়ের তলায় মাটি পাচ্ছেন না। তাই এসব বলছেন। এটাকে বলে খেঁচো পাবলিসিটি।’