শহর কলকাতা নিয়ে কচিকাচাদের চিন্তাভাবনায় মুগ্ধ হলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শনিবার মেয়রের সঙ্গে পুরসভায় দেখা করতে আসে কচিকাচারা। সেখানে তিনি তাদের সঙ্গে গল্প করার পাশাপাশি একাধিক সমস্যা ও ভাবনার কথাও শোনেন এবং আশীর্বাদও করেন। কচিকাচাদের অনেকেরই বহুদিন ধরে মেয়রকে সামনে থেকে দেখার এবং কথা বলার ইচ্ছে ছিল। এদিন তাদের সেই ইচ্ছে পূরণ হল। এদিন পুরসভার তরফে ‘টক টু মেয়র আঙ্কেল’ নামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই কচিকাচাদের সঙ্গে দেখা করেন মেয়র।
আরও পড়ুন: ‘মানুষ আমাদের ‘চোরপোরেশন’ এই জন্যই বলে’, ডিজি বিল্ডিংকে হুঁশিয়ারি মেয়রের
শহর নিয়ে খুদেদের চিন্তা ভাবনা শুনে কয়েক হাত দূরে বসে থাকা মেয়র বলেন, ‘শহর নিয়ে তোমরা যে এত ভাবো। এটা সত্যিই খুব ভালো লাগলো। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন এত কিছু ভাবতাম না। এই জেনারেশনের ছেলেমেয়েরা চিন্তা ভাবনায় কত এগিয়ে।’ এছাড়া মেয়র কচিকাচাদের কাছ থেকে সমস্যা শুনলে সমাধান করার আশ্বাস দেন। তিনি খুদেদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘তোমরা রাস্তায় বের হলে আলাদা কিছু দেখলে নোট করে রাখবে। আমাকে বললে আমি সেগুলি সমাধান করে দেব।’ উল্লেখ্য, ৪টি বেসরকারি সংস্থার তরফে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। মূলত দরিদ্র এবং বস্তিবাসী এলাকার কচিকাচারা এদিন মেয়রের সঙ্গে দেখা করতে আসে। তাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা কথা বলতে পারে না। তবে মেয়রকে সামনে থেকে দেখতে চেয়েছিল সেই ইচ্ছে তাদের পূরণ হয়েছে।
তাদের মধ্যে এক শিশু মেয়রের সঙ্গে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করে। তার কথায়, সে বাবা মায়ের মুখে শুনেছে তারা নাকি ছোটবেলায় রোজ খেলতো। আগে বড় বড় মাঠ ছিল। তবে এখন সেরকম বড় মাঠ নেই। তখন মেয়র শুনে কিছুটা হেসেই বলেন, তাঁর কোমরে ব্যথা। এখন তিনি রোজ সকালে হাঁটতে যান। খেলতে পারবেন না। তবে বাচ্চারা পুরসভার পার্কে রোজ খেলতে পারবে বলে জানান মেয়র।
এছাড়াও, এক শিশুর জানায় সে মেয়ে হলেও ছেলেদের সঙ্গে খেলতে ভালোবাসে। অনেকেই তাকে ট্রান্সজেন্ডার বলে কটাক্ষ করে। সেই কথা শুনে মেয়র তাকে লেখাপড়া শিখে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়াও এক নাবালিকাকে চাইল্ড প্রটেকশন কমিটিতে সদস্য করার নির্দেশ দেন মেয়র। এদিন কচিকাচাদের উদ্দেশ্যে মেয়র কোনও কাজে ভয় না পেয়ে লক্ষ্য নির্দিষ্ট করে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এরকম হলে জয় নিশ্চিত হবে বলে জানান মেয়র।