রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে রোজই করোনা সংক্রমণ বাড়ছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে। যার জেরে চাপ বাড়ছে স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর। চিকিৎসকদের মধ্যে সংক্রমণ রুখতে বহু হাসপাতালে বহির্বিভাগ বন্ধ রাখা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে। তবে আপাতত বহির্বিভাগ বন্ধ হচ্ছে না কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও চিত্তরঞ্জন ন্যশনাল মেডিক্যাল কলেজে। তবে জরুরি নয় এমন অস্ত্রোপচার কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসরা।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে মোট ১৬০ জন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত। রোজই বাড়ছে সংখ্যাটা। হাসপাতালের প্রায় ১৫০ জন নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীও করোনার কবলে। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালের বহির্বিভাগ বন্ধ রাখা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছিল। তবে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে বহির্বিভাগ খোলা থাকছে। একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাত। তবে দুই হাসপাতালেই জরুরি অস্ত্রপোচার ছাড়া অন্যান্য শল্যচিকিৎসা কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কলকাতার এই ২ হাসপাতালের ওপর ভরসা করেন রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। দক্ষিণবঙ্গ তো বটেই উত্তরবঙ্গেরও গরিব মানুষও রোগ নিরাময়ে বিনামূল্যে নামি ডাক্তারবাবুদের সাক্ষাৎ পান এখানেই। ফলে এই ২ হাসপাতালের বহির্বিভাগ বন্ধ হয়ে গেলে অনেকেরই চিকিৎসা থমকে যেত।