চব্বিশ ঘণ্টায় হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ জন চিকিৎসক ও ৩ জন রোগীর দেহে COVID 19 মিলেছে। রাতারাতি যেন করোনার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। এরই মধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চরম অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে প্রেস বিবৃতি জারি করলেন ইন্টার্নরা। তাদের দাবি, কেন্দ্রের নির্দেশিকা মানছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যার ফলে ঝুঁকির মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। এই নিয়ে এখনো মুখ খোলেনি স্বাস্থ্য ভবন।
ইন্টার্নদের অভিযোগ, করোরা রোগীর সংস্পর্শে যাঁরা আসতে পারেন তাঁদের N95 মাস্ক দেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু তাদের সেই মাস্ক ছাড়াই রোগীদের চিকিৎসকা করতে বচ্ছে। বারবার বলেও মাস্ক মেলেনি বলে অভিযোগ তাঁদের।
সঙ্গে হাসপাতালে আইসোলেশন জোন অপ্রতুল বলেও জানিয়েছেন হবু ডাক্তারবাবুরা। তাঁদের অভিযোগ, যার ফলে চিকিৎসক ও রোগীদের সংক্রমণের সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়ছে। তাদের থেকে সংক্রমিত হতে পারেন তাঁদের পরিজনরাও। এমনকী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইন্টার্নদের কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে পাঠাতেও নারাজ। করোনা পরীক্ষাও হচ্ছে না তাঁদের।
ইন্টার্ন ডাক্তাররা জানিয়েছেন, ইডেন বিল্ডিংয়ের লেবার ওয়ার্ড ঠিক মতো জীবাণুমুক্ত করা হয়নি। যার থেকে ফের সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকী হাসপাতালের ৫০ জন চিকিৎসক ও নার্সকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে বলে ভুয়ো খবর ছড়ানো হয়েছে, দাবি ইন্টার্নদের।
প্রেস বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে, প্রায় ১ সপ্তাহের গরিমসির পর সম্প্রতি করোনা রোগীদের সরাসরি সংস্পর্শে এসেছেন এমন চিকিৎসকদের করোনা পরীক্ষা করানো শুরু করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সঙ্গে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থাও হয়েছে। তাতে এক ঘরে চারজনকে রাখা হচ্ছে। ব্যবহার করতে হচ্ছে একটাই শৌচালয়। এরকম কোয়ারেন্টাইনের মানে কী? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অভিযোগ, মেডিক্যাল কলেজের সমস্ত বিভাগে একাধিক ঘটনা রয়েছে যেখানে কর্তৃপক্ষ লাল ফিতের ফাঁসে সম্ভাব্য করোনা রোগীদের পরীক্ষা আটকে রেখেছে। যার ফলে সংক্রমণের আকার আরও বাড়ছে।
প্রেস বিবৃতিতে, মেডিক্যাল কলেজের প্রত্যেক চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা পরীক্ষা করাতে হবে বলে দাবি তোলা হয়েছে। সঙ্গে ইডেন হাসপাতাল বন্ধ করে উপযুক্ত পদ্ধতিতে জীবাণুমুক্ত করার দাবি তুলেছেন তাঁরা।