করোনার চিকিৎসা শুরু হওয়ার পর মৃতদেহের চাপ সামলাতে নাভিশ্বাস উঠছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে দেহ সংরক্ষণের জন্য আরও ৬টি ফ্রিজার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই ফ্রিজার চালুর নির্দেশ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মৃতদেহ সংরক্ষণ তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার পদমর্যাদার এক সুপারকে। রবিবার হাসপাতাল সূত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে।
মেডিক্যাল কলেজে বর্তমানে দেহ সংরক্ষণের জন্য ৫টি ফ্রিজার রয়েছে। তবে গত শনি ও রবিবার যা ঘটেছে তার পর আর ঝুঁকি নিতে চাইছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওই ৪৮ ঘণ্টায় হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জন রোগীর। এর মধ্যে অর্ধেক করোনা আক্রান্ত অবস্থায় মৃত। একসঙ্গে এত দেহ সামলাতে গিয়ে নাভিশ্বাস ওঠে কর্তৃপক্ষের।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে করোনার উপসর্গ থাকলেও পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে মেডিক্যাল কলেজে। ফলে রোগীর সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনই বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। ওদিকে মে মাসের গরমে দেহ বাইরে রাখলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পচন শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে ফ্রিজার ছাড়া দেহ সংরক্ষণ সম্ভব নয়।
জানা গিয়েছে, অ্যানাটমি বিভাগে রাখা হবে ফ্রিজারগুলি। যে কোনও উপায়ে মঙ্গলবারের মধ্যে সেগুলিকে চালু করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বরাতপ্রাপ্ত সংস্থাকে।
রাজ্য সরকার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজকে করোনা হাসপাতাল হিসাবে ঘোষণা করলেও তার পরিকাঠামো নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন উঠেছে। এপ্রিলে করোনা হাসপাতালেই করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েন একের পর এক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী। গত সপ্তাহে সেখানে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী না থাকায় ভাইয়ের দেহ পিপিই পরে সরাতে হয় দাদাকে।