মাঝে আর একটা দিন। তারপর রাজ্যজুড়ে পালিত হবে ক্রিস্টমাস ইভ। অর্থাৎ বড়দিন। এই দিনে শহরের উপর মানুষের চাপ বাড়ে। কারণ মধ্য কলকাতার পার্কস্ট্রিট সেজে ওঠে আলোর রোশনাইয়ে। হোটেল, বার থেকে শুরু করে গানের মুর্ছনা আলাদা মাদকতা তৈরি করে। যা দেখতে এবং উপভোগ করতে ভিড় জমান আট থেকে আশি। এই জমজমাট ভিড়কে নিয়ন্ত্রণ করে কলকাতা পুলিশ। রাত যত বাড়ে ততই ভিড় বাড়ে ধর্মতলা, ময়দান চত্বরে। তার সঙ্গে চাপ বাড়ে কলকাতার গর্ব মেট্রো রেলে। তবে সেটা কত রাত পর্যন্ত চলবে? এই প্রশ্ন সকলের মনেই আছে। কারণ বাড়ি ফিরতে হবে কোন পথে? সেই চিন্তা দূর করতে পদক্ষেপ করল কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
এদিকে রাত পর্যন্ত পাতালপথে পরিষেবা মিলবে। এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, বুধবার বড়দিন। সেদিন কবি সুভাষ থেকে শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ১১টায়। আর সেই মেট্রো থামবে দমদম স্টেশনে। আর দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার শেষ মেট্রো ছাড়বে কবি সুভাষ থেকে রাত ১০টা ৪৯ মিনিটে। বিপরীত দিকে দক্ষিণেশ্বর থেকে শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ১০টা ৫৩ মিনিটে। তার জেরে পার্কস্ট্রিট বা ধর্মতলা থেকে রাত সাড়ে ১১টার পর ওঠা যাবে মেট্রোতে।
আরও পড়ুন: স্বামীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্ত্রীর বাপেরবাড়ির সদস্যদের বসবাস নিষ্ঠুরতা, পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের
অন্যদিকে দুপুর ৩টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেট্রো চলবে ৭ মিনিট ব্যবধানে। এটা একটা স্বাভাবিক সময় ধরেই চলে থাকে। আর দিনের বাকি সময় পুরনো সূচি মেনে পাতালপথে মিলবে পরিষেবা। বুধবার ছুটির দিন হলেও ভোর ৬টা ৫০ মিনিটে ছাড়বে প্রথম মেট্রো। কারণ এই দিন সকাল থেকেই মানুষ নানা প্রান্তে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। বড়দিনে মেতে ওঠে মানুষ অন্য মেজাজে। বড়দিন মানেই তো ক্রিসমাস ক্যারল, কেকের গন্ধ এবং আনন্দে মেতে ওঠা। আর পার্ক স্ট্রিটে উপচে পড়া মানুষের ভিড় উৎসবের মেজাজ তৈরি করে। তাই অতিরিক্ত পরিষেবা এদিন দিচ্ছে কলকাতা মেট্রো। অতিরিক্ত ট্রেনও চালানো হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এছাড়া সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদা রুটে অন্যান্য দিনের তুলনায় কম মেট্রো চলবে। সপ্তাহের ব্যস্ত সময়ে ১০৬টি মেট্রো চলে। বড়দিন উপলক্ষ্যে চলবে ৯০টি মেট্রো। তাতে অবশ্য যাত্রীদের অসুবিধা হবে না। বড়দিনে প্রথম এবং শেষের মেট্রোর সময়ে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। তাই সল্টলেক চত্বরে কেউ বড়দিন উদযাপন করলে বাড়ি ফেরার পথে মেট্রোর সুবিধা মিলবে না। যদিও শিশু এবং মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বাড়তি নিরাপত্তা থাকবে। পার্ক স্ট্রিট, ময়দান, এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনে একটি স্পেশাল টিম থাকবে। একজন আরপিএফ সাব ইন্সপেক্টর বা অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর এবং পুলিশ কর্মী থাকবেন। আরও একটি স্পেশাল টিম থাকবে পার্ক স্ট্রিট স্টেশনে।