আরও এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার মাঝরাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে তা আছড়ে পড়তে পারে ওড়িশা উপকূলে। ল্যান্ডফল হতে পারে ধামরা ও ভিতরকণিকার মাঝামাঝি কোনও স্থানে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলার উপকূলবর্তী দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং সংলগ্ন জেলাগুলিতে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকছে। প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কলকাতাতেও। তবে মেট্রো রেল পরিষেবা অব্যাহত থাকছে। আজ বৃহস্পতিবার একটি প্রেস বিবৃতিতে এই কথা জানিয়েছেন, মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র। তিনি জানান, অন্যান্য দিনের মতোই ঘূর্ণিঝড়েও মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে। কোনও সময়সূচির পরিবর্তন করা হচ্ছে না।
এদিকে দুর্যোগের আশঙ্কায় আগাম সতর্কতা নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে খোলা আছে কন্ট্রোল রুম। নবান্নেও খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। সেখান থেকে যোগাযোগ রাখা হবে জেলাগুলিতে। বিপদ যাতে না ঘটে তার জন্য লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেন, বিমান এবং ফেরি পরিষেবা বেশ কয়েক ঘণ্টা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুর্যোগের মধ্যেও স্বাভাবিক থাকবে মেট্রো রেল পরিষেবা। মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় আসতে চলেছে। যে কোনও সময়ে তার ‘ল্যান্ডফল’ হবে। এই অবস্থায় অনেকেই জানতে চাইছেন, মেট্রো পরিষেবা কেমন থাকবে। ঝড়ের সময়ে মেট্রো বন্ধ থাকবে কিনা। আমি স্পষ্ট করে জানাতে চাই, মেট্রো পরিষেবা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক থাকবে। কোনও পরিবর্তন করা হচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: ‘আমি আজ রাতে নবান্নে থাকব’, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র দুর্যোগের নিশিতে অতন্দ্র প্রহরী মমতা
অন্যদিকে নবান্নের হেল্পলাইন নম্বর (০৩৩) ২২১৪৩৫২৬/১০৭০। জেলাগুলিতেও চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন। আজ রাতে নবান্নে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। এই আবহে কৌশিকবাবু বক্তব্য, ‘দক্ষিণেশ্বর ও দমদম থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত শেষ মেট্রো ছাড়ে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে। শনিবার ও রবিবার বাদে। ঘূর্ণিঝড়ের সময়েও সময়সূচির কোনও বদল হচ্ছে না। একইভাবে সবুজলাইনে হাওড়া ময়দান থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত গঙ্গার তলা দিয়ে যে মেট্রো পরিষেবা চালু আছে, সেটাও স্বাভাবিক থাকবে। এই রুটেও কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। এই রুটে সল্টলেক থেকে শিয়ালদার মেট্রো রেলের সময়সূচিও অপরিবর্তিত থাকছে।’
এছাড়া হেমন্ত মুখোপাধ্যায় থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত যে মেট্রো পরিষেবা প্রত্যেকদিন রাত ৮টা পর্যন্ত চালু থাকে। ঘূর্ণিঝড়ের সময়েও তা একই থাকছে। জোকা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত পরিষেবা নির্দিষ্ট সময়ের পরেই বন্ধ হয়ে যায়। সেটাই হবে। কৌশিক মিত্রের কথায়, ‘মেট্রো রেল কলকাতার লাইফলাইন। ঝড়ের কারণে সেটা বন্ধ হবে না। দমদম থেকে কবি সুভাষ, কবি সুভাষ থেকে দমদম, হাওড়া ময়দান থেকে ধর্মতলা, ধর্মতলা থেকে হাওড়া ময়দান, সল্টলেক থেকে শিয়ালদা, শিয়ালদা থেকে সল্টলেক, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় থেকে কবি সুভাষ, কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, জোকা থেকে মাঝেরহাট, মাঝেরহাট থেকে জোকা সমস্ত রুটে নির্দিষ্ট সময়ে মেট্রো পরিষেবা শুরু ও শেষ হবে।’