মেট্রো স্টেশন আত্মহত্যা করার সহজ পথ। তাই কলকাতা মেট্রোর নানা স্টেশনে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে থাকে। আর তা নিয়ন্ত্রণ করতে বদ্ধপরিকর মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তার জন্য প্রথমে আরপিএফ বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে লাভের লাভ হয়নি। এরপর নতুন প্ল্যাটফর্মগুলিতে বসে গেল স্লাইডিং ডোর। তাতে খানিকটা রেহাই মিলেছে। তবে যেখানে এই স্লাইডিং ডোর নেই সেখানে আত্মহত্যার সম্ভাবনা থেকেই গিয়েছে। বিশেষ করে পুরনো প্ল্যাটফর্মগুলিতে। সেখানে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছেও। তার জেরে ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের। অফিস যাওয়া অথবা ফেরার সময় আত্মহত্যার ঘটনায় লাগাম টানা যাচ্ছে না।
এই পরিস্থিতিতে কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে বসানো হয়েছিল গার্ডরেল। কিন্তু তাতে দেখা গেল অন্যরকম সমস্যা। মেট্রোর দরজার সঙ্গে গার্ডরেলের সামঞ্জস্য ছিল না। তাই তা সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আধুনিক ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই আত্মহত্যা ঠেকাতে। তবে এই মধ্যবর্তী সময়ে মানুষজনকে সচেতন করার পথেই হাঁটল কলকাতা মেট্রো। এবার আত্মহত্যার ঘটনা কমাতে গিরীশ পার্ক, কালীঘাট এবং বেশ কয়েকটি মেট্রো স্টেশনে লাগানো হল বিশেষ ফ্লেক্স। যেখানে মানুষের মধ্য়ে আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে বিশেষ বার্তা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কলকাতা পুরসভায় জরুরি বৈঠক ডাকলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, হঠাৎ কী ঘটল সেখানে?
কলকাতা মেট্রোর দক্ষিণ থেকে উত্তর যাতায়াতের পথে পর পর আত্মহত্যার ঘটনায় ভাবিয়ে তুলেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে। এভাবে মেট্রোর যাত্রীরা যদি নিজেদের জীবন দিতে থাকে তাহলে সেটা আতঙ্কের বার্তা বয়ে নিয়ে আসবে। তাই কদিন আগেই কালীঘাট স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে গার্ডরেল বসানো হয়। আর যে কায়দায় সেই গার্ডরেল বসানো হয়েছে, তাতে আত্মহত্যার ঘটনা ঠেকানো যাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। তাহলে বিকল্প উপায় কী? এই প্রশ্নও উঠতে থাকে। তখনই বিশেষ ফ্লেক্সের ব্যবস্থা করা হয়। তাতে একদিকে সচেতনতা বাড়বে অপরদিকে আত্মহত্যার প্রবণতা কমানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এছাড়া ওই বিশেষ ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে একেবারে স্টেশনে প্রবেশ করার মুখে এবং তা থাকছে প্ল্যাটফর্মেও। যাতে যাত্রীদের চোখে পড়ে সচেতনতার বার্তা। ওই ফ্লেক্সে লেখা রয়েছে, ‘ইওর লাইফ ইজ প্রেসিয়াস, নেভার গিভ আপ।’ যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, আপনার জীবন অত্যন্ত মূল্যবান, কখনও হাল ছাড়বেন না।’ মেট্রো রেলের প্রত্যেকটি স্টেশনে এখন এই বিশেষ ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে। ট্রেন প্ল্যাটফর্মে এসে দরজা খুলতেই এই বিশেষ ফ্লেক্স চোখে পড়বে যাত্রীদের। এতে আত্মহত্যা কমবে কিনা সেটা সময়ই বলবে।