আর মাত্র চার-সাড়ে চার বছরের অপেক্ষা। তারপরই পুরো দমে চালু হয়ে যাবে কলকাতা মেট্রো রেলের পার্পল লাইন। এমনটাই জানিয়েছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এই অংশে মেট্রো পাড়ি দেবে মোট ১৪ কিলোমিটার পথ। সেই পথের নির্মাণকাজ সামগ্রিকভাবে ২০২৮ সালের শেষ অথবা ২০২৯ সালের প্রথম দিকেই সারা হয়ে যাবে।
মেট্রোর এই পথ নির্মাণ করার জন্য আগামী ডিসেম্বর মাস থেকেই পেল্লায় টিবিএম বা 'টানেল-বোরিং মেশিন'গুলি কলকাতায় পৌঁছতে শুরু করবে। এই মেশিনগুলি তৈরি করেছে জার্মানির একটি সংস্থা এবং সেগুলি অ্যাসেম্বল বা সংযুক্ত করা হচ্ছে চেন্নাই শহরে।
উল্লেখ্য, মেট্রো রেল চলাচলের জন্য মাটির নীচে যে সুরঙ্গ তৈরি করা হয়, তার জন্য প্রাথমিকভাবে মাটি খোঁড়ার কাজ করতে এই টিবিএম-গুলি ব্যবহার করা হয়।
শুক্রবার কলকাতায় মেট্রো রেলের সিপিআরও কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যেই টিবিএম-গুলি কাজ করা শুরু করে দেবে।
মেট্রোর এই কাজ নিয়ে নানা সময় নানা জটিলতা তৈরি হলেও, সম্প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছ থেকে বিরাট সুখবর পায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। মন্ত্রকের তরফ থেকে স্থানীয় বি সি রায় মার্কেটটি অন্যত্র সরানোর ছাড়পত্র প্রদান করা হয়।
এসপ্ল্যানেড চত্বরের এই মার্কেট বা বাজারটি ঠিক যেখানে বর্তমানে অবস্থান করছে, সেখানেই প্রস্তাবিত মেট্রো প্রকল্পের স্টেশন তৈরি করা হবে। উন্নয়নের স্বার্থে সেই বাজারটি অন্যত্র সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
এরপরই মেট্রোর তরফে মাউন্টেড পুলিশের মাঠে একটি অস্থায়ী একতলা ভবন নির্মাণের বরাত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। ঠিক করা হয়েছে, আপাতত সেই ভবনেই বি সি রায় মার্কেটের ৫২৮ জন ব্যবসায়ীকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এই ভবনটি তৈরি করতে খরচ হবে ১৯ কোটি টাকা।
একইসঙ্গে, পার্পল লাইনের জন্য মেট্রোর এসপ্ল্যানেড স্টেশনের একাংশের নির্মাণকাজও শুরু করে দেওয়া হয়েছে। কৌশিক মিত্র আরও জানিয়েছেন, তাঁরা ওই এলাকা থেকে এল-২০ বাস স্ট্যান্ডটিও অন্যত্র সরানোর জন্য আলোচনা শুরু করেছেন। সেটিকে কার্জন পার্কে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
অন্যদিকে, মাটির নীচে মোমিনপুর-এসপ্ল্যানেড রুটে মেট্রোর কাজ পুরো দমে চলছে বলেও সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন কৌশিক।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে খবর, খুব সম্ভবত আগামী দুই থেকে তিনমাসের মধ্যেই এল-২০ বাস স্ট্যান্ডটি তার নতুন অবস্থানে স্থানান্তরিত করা হতে পারে।
বর্তমানে যেখানে এসপ্ল্যানেড-ব্যারাকপুর রুটের বাসটি পার্ক করা হয়, সেখানেই প্রায় ২,৯০০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে নতুন করে নির্মাণকাজ করা হতে পারে।