অফিস টাইমে পাতালপথে ফের বিভ্রাট দেখা দিল। আজ, সোমবার মেট্রোর এসি–তে বিভ্রাট দেখা দেয়। যার জেরে চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন যাত্রীরা। ১৮ মিনিট বন্ধ ছিল মেট্রো পরিষেবা। কবি সুভাষগামী মেট্রোয় এসি বিকল হয়ে পড়েছিল। তার জেরে বন্ধ ছিল পরিষেবা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, যাত্রীদের নামিয়ে দিতে হয়। পুরো ট্রেনের যাত্রীদের এভাবে নেমে যেতে হওয়ায় ব্যস্ত সময়ে চরম নাকাল হন তাঁরা। যদিও কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকের দাবি, তড়িঘড়ি পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক হয়েছে মেট্রো চলাচলও।
ঠিক কী ঘটেছে পাতালপথে? আজ, সোমবার সকালে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষগামী মেট্রোর একটি রেকে এসি বিকল হয়ে পড়ে। আর তার জেরে যাত্রীদের দমবন্ধ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। ট্রেনে উঠেই যাত্রীরা এসির জন্য অভিযোগ জানাচ্ছিলেন। পরিস্থিতি ঘোরালো হযে উঠতে মেট্রো কর্তৃপক্ষ তাঁদের রেক খালি করে দিতে অনুরোধ করেন। তখন পরবর্তী মেট্রোয় গন্তব্যে পৌঁছন তাঁরা। এমনকী মেট্রো রেলটি কারশেডে পাঠানো হয়। ১০টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল মেট্রো পরিষেবা।
আর কী জানা যাচ্ছে? মেট্রোয় বাড়তি ভিড় হতে শুরু করেছিল। ফলে মেট্রো চলাচল বিঘ্নিত হয়ে পড়ে। সপ্তাহের প্রথম দিনেই সবার গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হয়। এই ভিড় সামলানো বেশ ঝক্কির বিষয় বলে মানছেন মেট্রো কর্মীরা। তবে সিপিআরও একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এসি বিভ্রাট হয়েছিল। কিন্তু দ্রুত পরিস্থিতি সামলানো গিয়েছে। একটি রেক খালি করতে বলা হয় যাত্রীদের। তাঁরা নেমে যাওয়ার পর ফাঁকা রেক নিয়ে যাওয়া হয় সারাইয়ের জন্য।
যাত্রীদের ঠিক কী অভিযোগ? এই ঘটনার পর যাত্রীরা ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে জানান, এসি কাজ করছিল না। মেট্রোর মধ্যে গরমে অনেকে অসুস্থবোধ করছিলেন। শ্যামবাজার স্টেশনে নেমে যেতে বলা হয়। পরের মেট্রোতে উঠে গন্তব্যে যেতে হয়। সকাল ১০টা ১০ মিনিট নাগাদ ফাঁকা মেট্রো শ্যামবাজার থেকে কবি সুভাষের দিকে নিয়ে যাওয়া হয় মেরামতির জন্য।