এবার দুর্গাপুজোয় ব্যাপক ভিড় হয়েছিল মেট্রো রেলে। ফলে আয়ও বেড়েছে কলকাতা মেট্রোর। জেলা থেকেও শহরের মণ্ডপে ভিড় জমিয়েছিলেন তাঁরাও ব্যবহার করেছিলেন মেট্রো। দক্ষিণের এবং উত্তরের ঠাকুর দেখতে এই লাইফলাইনই তাঁরা ব্যবহার করেছেন। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে কলকাতার মানুষজন। এমনকী সল্টলেকের জনপ্রিয় পুজোগুলি দেখতে পর্যন্ত ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো ব্যবহার হয়েছে ব্যাপকভাবে। তাতে মেট্রো রেলের আয় বেড়েছে মারাত্মকভাবে। সুতরাং একরাতেই নলিন সরকার স্ট্রিট থেকে কালীঘাটে নেমে ত্রিধারা সম্মিলনীর ঠাকুর দেখে বাড়ি ফেরা সম্ভব হয়েছে।
কেমন যাত্রী হয়েছে কলকাতা মেট্রোয়? মেট্রো রেল সূত্রে খবর, পঞ্চমী থেকে দশমীতে ৩৯ লক্ষ ২০ হাজার ৭৮৯ জন যাত্রী ব্যবহার করেছেন মেট্রো। তার মধ্যে রয়েছে ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রোর ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৪২৮ জন যাত্রী। মেট্রো রেলের হিসাবে এটাই সবচেয়ে বড় রেকর্ড। এই বছরে দুর্গাপুজোর সময় ৬ দিনে মেট্রোয় টিকিট বিক্রি থেকে আয় হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকা। যা সর্ববৃহৎ রেকর্ড। সপ্তমী থেকে নবমী টানা তিনদিন সারারাত মেট্রো চলেছে।
আর কী জানা গিয়েছে? মেট্রো রেল সূত্রে খবর, গত দু’বছর করোনাভাইরাসের জন্য লোকসানের মুখ দেখেছিল মেট্রো রেল। সেটা এবার দুর্গাপুজোয় উঠে এসেছে। ব্যাপক লাভের মুখ দেখেছে কলকাতা মেট্রো। এটা একটা বড় প্রাপ্তি। আর ওই দুর্গাপুজোয় রেকর্ড যাত্রীদের ভিড়কেও সুষ্ঠুভাবে গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছে মেট্রো। গোটা রাত খোলা ছিল কন্ট্রোলরুম। এই পরিষেবাও প্রশংসিত হয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। প্রতি স্টেশনে অতিরিক্ত আরপিএফ, রেক রক্ষণাবেক্ষণের কর্মী, স্টেশনে মেট্রো আধিকারিকরা নেমে পড়েছিলেন যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য পৌঁছে দিতে।
কী বলছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ? এই বিষয়ে মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ‘এই বছর দুর্গাপুজোর সময় আমাদের কর্মীরা খুব ভাল ক্রাউড ম্যানেজমেন্ট করেছেন। কোনও সমস্যা হয়নি। সাধারণ মানুষ খুব দ্রুত এক জায়গা থেকে অন্যত্র যেতে পেরেছেন।’ আর এই পুজোকে সামনে রেখে দু’বছরের লোকসানের মুখ থেকে লাভের অঙ্ক দেখেছে মেট্রো বলেও সূত্রের খবর।