লক্ষ্মীবারেই পাতালপথে বিভ্রাট ঘটল। আর তাতে চরম নাকাল হতে হল নিত্যযাত্রীদের। আজ, বৃহস্পতিবার অফিস টাইমে দ্রুত এবং আরামদায়ক লাইফলাইন কলকাতা মেট্রো রেল। এই শহরের বড় অংশের মানুষের ভরসা এই মেট্রো। তবে সকালেই এল বিভ্রাটের খবর। এদিন ময়দান স্টেশনে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে ভোগান্তি দেখা দিয়েছে মেট্রোয়। আর তার জেরে প্রত্যেক স্টেশনেই প্রায় ১০ মিনিট করে থমকে চলে কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বরগামী মেট্রো। সুতরাং দুর্ভোগে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। সকাল ৭টা ৩৬ মিনিট থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশন থেকে যে মেট্রো ছেড়েছিল সেটা রবীন্দ্রসদনে পৌঁছয় ৮টা ৪৭ মিনিটে।
এই ঘটনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে পাতালপথে সমস্যা দেখা দিয়েছে। দক্ষিণেশ্বর–কবি সুভাষ রুটে মেট্রো বিভ্রাট দেখা দেওয়ায় নানা স্টেশনে রেক দাঁড়িয়েছিল বলে সূত্রের খবর। তাতেই চরম সমস্যার মুখে পড়তে হয় নিত্যযাত্রীদের। যদিও মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, সিগন্যালিংয়ের সমস্যার জন্য সাময়িকভাবে মেট্রো দেরিতে চলছিল। এখন পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে। মেট্রোর লাইনের বিদ্যুৎ সংযোগে সমস্যা হওয়ায় আপ দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ এবং ডাউন লাইনে কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর যখন মেট্রো চলা শুরু হয় তখন স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল কাজ করছিল না। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য সিগন্যালে গোলযোগ তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: ‘ও শুভেন্দু দা, তুমি নাকি কোথায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছো’, খোঁচা দিলেন দেব
এদিকে অটোমেটেড সিগন্যাল পরিষেবায় সমস্যা হয় বলেই কিছুক্ষণের জন্য আপ এবং ডাউন দুই লাইনেই পরিষেবা থমকে গিয়েছিল। পরে অবশ্য ম্যানুয়াল সিগন্যাল ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিষেবা সচল করা হয়। তাই মেট্রো দেরিতে চলছিল বলে দাবি করেন বহু যাত্রী। মেট্রোর রেল সূত্রে খবর, প্রত্যেক স্টেশনে গড়ে ৮ থেকে ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিল মেট্রো। বিদ্যুতের যে বিভ্রাট তৈরি হয়েছিল সেটা সঠিক করার কাজ শুরু হয়েছে। তবে সব মিলিয়ে দিনের শুরুতেই মেট্রোর এই গণ্ডগোলের জেরে ক্ষুব্ধ যাত্রীদের বড় অংশ। এক নিত্যযাত্রী বলেন, ‘আমি শ্যামবাজার থেকে রবীন্দ্র সরোবরে যাচ্ছিলাম। কিন্তু মেট্রো প্রচণ্ড ধীর গতিতে চলছিল। অফিসের সময় এমন ঘটনা সমস্যায় ফেলেছে।’
অন্যদিকে নেতাজি, মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকে অনেকক্ষণ। স্টেশনে ও মেট্রোর মধ্যে ঘোষণা করা হয়, লাইন ‘ক্লিয়ার’ হলেই ট্রেন ছাড়বে। কিন্তু কিসের জেরে এই গোলযোগ পাতালপথে সে সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। তবে আজ, বৃহস্পতিবার মেট্রো চলাচলের শুরু থেকে এমনই অবস্থার শিকার হলেন নিত্যযাত্রীরা। এই বিষয়ে কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘ট্রেনগুলি একটু ধীরে চলছিল। কখনও ট্রেন বন্ধ হয়নি। পাওয়ার ট্রিপের জন্য সিগন্যালিংয়ে সমস্যা হয়েছিল। আর তাই ট্রেন চলাচল ধীর গতিতে হচ্ছিল। ৮.৫০ নাগাদ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে।’