ইএম বাইপাসের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। তারপরের দিনই হাই-স্পিড করিডোরের সবচেয়ে খারাপ অংশগুলির মেরামত করতে তৎপর হয়েছে কেএমসি। এনিয়ে ওই অংশগুলির সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সমীক্ষার রিপোর্টের পরেই রাস্তা মেরামতি নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুরসভার সড়ক বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন অধিরকারিক জানান, চারটি বরোর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারদের উল্টাডাঙ্গা থেকে গড়িয়া পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ইএম বাইপাস নিয়ে একটি বিশদ সমীক্ষা করতে বলা হয়েছে। সমীক্ষা শেষ করে দ্রুত একটি রিপোর্ট তৈরি করতে বলা হয়েছে। তিনি জানান, ‘আমরা রাস্তার অবস্থার উপর ভিত্তি করে টানা মেরামতের কাজ হাতে নেব। তবে আমরা মেরামত কাজ শুরু করার জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করব না।’ তিনি জানান, যেখানে রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ সেখানে মেরামতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
কলকাতার মেয়র এবং রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম শুক্রবার ইএম বাইপাসটিকে তার বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক কেএমডিএ’র হাত থেকে কলকাতা পুরসভাকে হস্তান্তর করার ঘোষণা করেছিলেন। ফিরহাদ জানান, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করার পাশাপাশি পুরসভার সড়ক বিভাগকে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের উপর নির্ভর করে এই রাস্তার আরও উন্নয়ন করা হবে। আগে কেএমডিএ ই এম বাইপাসে সমীক্ষা করেছিল। সেই সমীক্ষাতেও রাস্তা মেরামতের কথা বলা হয়েছিল। এর জন্য ২০০ কোটি প্রয়োজন ছিল। তবে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে সরকারের পক্ষে একযোগে পুরো অর্থ অনুমোদন করা সম্ভব ছিল না। পরে কেএমডিএ আম্বেদকর ব্রিজ থেকে রুবি ক্রসিং পর্যন্ত প্রসারিত অংশটি মেরামত করার জন্য ৭০ কোটি টাকার প্রস্তাব দেয়। পুরসভার সড়ক বিভাগের একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে কেএমডিএ আধিকারিকদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবে পুরসভা।