রাজ্যের উপরে আছড়ে পড়ার কথা ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। তার জন্য পুরনো বাড়িগুলি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে কলকাতা পুরসভা। কারণ এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে যাতে কোনও ক্ষতি না হয়। প্রাণহানি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এই কাজ করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জানবাজারে রানি রাসমণির বাড়ির সদর দরজায় নীল রঙের ধাতুর ফলক লাগিয়ে দিল কলকাতা পুরসভা। আর তাতে খোদাই করে লেখা আছে ওই বাড়ির নাম এবং নির্মাণের তারিখ।
কেন এমনটা করা হল? কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এই বাড়িটি ‘এ–ওয়ান’ গ্রেডের হেরিটেজ বিল্ডিং। এমন অনেক বাড়ি আছে যাদের হেরিটেজ তকমা দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই সেই তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। শুরুটা করা হল রানি রাসমণির বাড়ি দিয়ে। এমনকী শহরে এমন ১০০টি বাড়িতে ফলক বসাবে কলকাতা পুরসভা। সেই তালিকায় রয়েছে ৫, এস এন ব্যানার্জি রোডে অবস্থিত কলকাতা পুরসভার সদর ভবনটিও। ফলে জোরকদমে কাজ চলছে।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? জানা গিয়েছে, রানি রাসমণির বাড়িটি ধর্মতলার জনবাজারে। এখানের ওই বাড়িতে বিয়ের পর থেকে বসবাস শুরু করেছিলেন তিনি। তবে জমিদারি সামলাতে নানা জায়গাতেও থাকতেন তিনি। এই বাড়িটি ১৭৯০ সালে তাঁর শ্বশুর নির্মাণ করেছিলেন। অনেক ঐতিহ্য জড়িয়ে রয়েছে বাড়িটির সঙ্গে। কলকাতার ইতিহাস বলতে গেলে এই বাড়িটির কথা উঠে আসবেই।
আর কী জানা যাচ্ছে? নানা বই থেকে জানা যায়, শ্রী রামকৃষ্ণের যাতায়াত ছিল রানি রাসমণির এই বাড়িতে। এমনকী বেশ কয়েকবার তিনি সেখানে দুর্গাপুজোও করেছেন। তৎকালীন কলকাতার বহু বিশিষ্ট মানুষজনের পদধূলি পড়েছিল এই বাড়িতে। তাই কলকাতা পুরসভা এই বাড়িটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করেছে। আর এবার সেখানে লাগিয়ে দেওয়া হল হেরিটেজ ফলক।