বড় সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরনিগমের। একটি ইংরেজি সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুসারে কলকাতা শহরে রাস্তার ধারের ট্যাপকলগুলিকে এবার তুলে নেওয়া হবে। প্রতিটি বাড়িতে, বস্তিতে, কলোনিতে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সরবরাহ করার কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পরে এই ট্যাপকলের আর বিশেষ কোনও প্রয়োজনীয়তা থাকবে না। সেকারণে এই ট্যাপকলগুলিকে তুলে নেওয়া হতে পারে। এর জেরে জলের অপচয়ও কমতে পারে অনেকটাই।
মঙ্গলবার একটি ইংরেজি সংবাদমাধ্যম আয়োজিত প্যানেল ডিসকাশনে মেয়র ইন কাউন্সিল(নিকাশি) তারক সিং জানিয়েছেন, পরিশ্রুত পানীয় জলের অপচয় অনেকটাই কমবে এর মাধ্য়মে। তাছাড়া জল পড়ে পড়ে রাস্তা, গলি সব নষ্ট হয়ে যায়। সেই প্রবনতাও আগের তুলনায় কমবে অনেকটাই।
এদিকে দেখা যায় শহরের ৩০ শতাংশ পানীয় জল ব্যবহার না করেই নর্দমায় চলে যায়। বহু ক্ষেত্রে দেখা যায় পাইপ ফেটে গিয়েছে। সেখান দিয়ে জল বেরিয়ে যাচ্ছে। রাস্তার ধারের কলগুলি থেকে অবিরাম জল বেরিয়ে যাচ্ছে। কেউ বন্ধ করার নেই। তবে একেবারে বিনা পয়সায় সমস্ত বস্তিতে বাড়ি বাড়ি জলের পাইপ লাইন সংযোগ দেওয়ার ব্যাপারে পরিকল্পনা নিয়েছে পুরনিগম।
তারক সিং জানিয়েছেন, রাস্তার ধারের যে ট্যাপকল গুলি থাকে সেখান থেকে জলের প্রচুর অপচয় হয়। দিনভর জল পড়তে থাকে। বাড়ি বাড়ি জলের সংযোগ দেওয়ার জেরে এই ট্যাপকলের প্রয়োজনীয়তা অনেকটাই কমবে। এর জেরে রাস্তায় , ফুটপাতে জল পড়ে থেকে নষ্ট হওয়ার প্রবনতা কমবে।
অন্যদিকে শহরে জলের অপচয় কীভাবে কমবে সেব্যাপারেও মতামত দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বাস্তুতন্ত্র নিয়েও মতামত দেন রাজ্য দুষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র। তিনি জানিয়েছেন, রাসায়নিক সার, কীটনাশকের যথেচ্ছ ব্যবহারের জেরে ইকো সিস্টেমে বড় প্রভাব পড়ছে। যেভাবে প্লাস্টিকের ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে পরিবেশের বড় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে লাগাম না টানলে আগামী দিনে বড় বিপদ হতে পারে।
তিনি জানিয়েছেন বর্জ্য পদার্থ যে আসলে সম্পদ সেই ভাবনাটি দ্রুত বাড়ছে। সেকারণেই নতুন নতুন ভাবনা তৈরি হচ্ছে। ব্যারাকপুর পুলিশ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ও রামকৃষ্ণ মিশনে বর্জ্য পদার্থ থেকে শক্তি সম্পদ তৈরি করা হচ্ছে। এর জেরে অনেকটাই সুবিধা হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, পৃথিবীর উপরিভাগের তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। এটা কলকাতার ক্ষেত্রেও কিছুটা উদ্বেগজনক। পাশাপাশি দুষণ রোধে ব্যবস্থা নেওয়ারও আবেদন করা হয়েছে।