শহরে বায়ুদূষণ মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ দু’বছর পেরিয়ে গেলেও বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষজ্ঞ কমিটির চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা পড়েনি। প্রায়ই রিপোর্টে প্রকাশিত হয় কলকাতায় বায়ুদূষণ মাত্রা ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কিভাবে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে? উঠেছে প্রশ্ন। তাই এই কাজ করতে পৃথক একটি সেল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা।
কী কাজ করবে এই পৃথক সেল? জানা গিয়েছে, এই পৃথক সেল বায়ুদূষণের দৈনন্দিন রিপোর্ট তৈরি থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে সমন্বয় রাখবে। এমনকী ‘ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রাম’ (এনসিএপি) কর্মসূচি ঠিকমতো হচ্ছে কি না, তাও দেখবে। করোনাভাইরাসের জেরে রাস্তায় গাড়ির চাপ কমেছে। মানুষ কম বাইরে বেরোচ্ছেন। তাহলে বায়ুদূষণ বাড়ছে কেন? এই প্রশ্নই ভাবিয়ে তুলেছে। তার জেরেই এই পৃথক সেল।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এই পৃথক সেলের জন্য চুক্তির ভিত্তিতে সাতটি পদে লোক নিয়োগ করা হবে। কোন কোন পদে নিয়োগ? কলকাতা পুরসভা জানাচ্ছে, সিনিয়র প্রজেক্ট অ্যাসোসিয়েট (২ জন), একজন প্রজেক্ট অ্যাসোসিয়েট (টেকনিক্যাল), প্রজেক্ট অ্যাসোসিয়েট (অ্যাডমিনিস্ট্রেটর), প্রজেক্ট অ্যাসোসিয়েট (আইটি) এবং দু’জন ডেটা এন্ট্রি অপারেটর। এই নিয়োগের ক্ষেত্রে পুরসভা এবং রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্য নিয়ে গঠিত নির্বাচক কমিটি কাজটি করবে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে কলকাতার বায়ুদূষণ কোন পথে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে তা নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করেছিল কলকাতা পুরসভা। সেখানে আইআইটি খড়্গপুর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত ওই কমিটি বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে কলকাতা পুরসভাকে স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা জমা দেবে বলে জানিয়েছিলেন পুর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দু’বছর অতিক্রান্ত হলেও সেই রিপোর্ট জমা পড়েনি।