মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হ্যাটট্রিকের নেপথ্যে বাংলার নারীদের এক বড় অবদান ছিল। বহু রাজনৈতিক বিশ্লেষক এই দাবি করে এসেছেন। তৃণমূল নেত্রীর বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমেও নারীদের মন জয় করার চেষ্টা নজরে পড়ে। বিধানসভা নির্বাচনের পরপরই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবুজ সাথীর মতো প্রকল্প বহু বছর ধরেই চলছে। তাছাড়া আরও নারীদের জন্য একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন মমতা। আর এবার কলাকাতা পুরসভা দখলের লড়াইতে নেমেও নারীদের মন জয় করতেই ছক কষল তৃণমূল।
এদিন দলের ইস্তেহার প্রকাশ করে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী জানান, তৃণমূল কলকাতা পুরভোটে জিতলে শহরে মহিলাদের জন্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি নারীদের জন্য বিশেষ টয়লেটও গড়ে তুলবে। পাশাপাশি নিকাশি, পানীয় জলের উপরও জোর দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল পুরবোর্ড গঠন করলে রাস্তা মসৃণ করা হবে। পাশাপাশি শহরের রাস্তায় সবুজায়নও হবে বলে প্রতিশ্রুতি তৃণমূল রাজ্য সভাপতির। কলকাতার সংস্কৃতি ও পর্যটনে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কথাও বলেন সুব্রত বক্সী। পাশাপাশি গৃহহীনদের জন্য চারটি নতুন নাইট শেল্টার তৈরির প্রতিশ্রুতিও দেন সুব্রতবাবু।
এদিকে এদিন ইস্তেহার প্রকাশ করে নিষ্পত্তি সেল তৈরির কথাও বলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি। যেকোনও সমস্যার কথা যাতে সরাসরি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে জানানো সম্ভব হয়, সেই লক্ষ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের অফিসে একটি নিষ্পত্তি সেল তৈরি করা হবে। পাশাপাশি একটি অ্যাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথাও বলা হয়েছে ইস্তেহারে। ইস্তেহারে দাবি করা হয়, সমস্যার কথা জানানোর ১৪ দিনের মধ্যে সেই সমস্যার সমাধান করা হবে পুরসভার তরফে।