নাগাড়ে বৃষ্টি হলেই শহরে জল জমছে। আর এই জলযন্ত্রণা নিয়ে নানা অভিযোগ জমা পড়েছে কলকাতা পুরসভায়। এই পরিস্থিতি থেকে বেরতে আলোচনা পর্যন্ত হয়েছে বলে খবর। এবার শহরে জল জমা–সহ নিকাশি, পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গড়ল কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষ। জলযন্ত্রণা থেকে শহরবাসীকে মুক্তি দিতেই এই কমিটি কাজ করবে বলে খবর।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বর মাসে এই কমিটি গঠিত হয়। শহরে জল জমার সমস্যা–সমাধান করতেই তাঁরা পরিকল্পনা গ্রহণ করবে। এমনকী মাসের প্রথম ও তৃতীয় বুধবার নিয়মিত নিজেদের মধ্যে বৈঠক করবেন। সেখানেই সমস্যাগুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। পুর কমিশনার, স্পেশ্যাল পুর কমিশনার, পুর অর্থ দফতরের মুখ্য আধিকারিক–সহ আরও চারটি দফতরের কর্তারা এই কমিটির সদস্য। এই চারটি দফতর হল— সিভিল, নিকাশি, নগর পরিকল্পনা, কলকাতা এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্রুভমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম। তবে সেচ দফতরের একজন প্রতিনিধিও কমিটিতে থাকছেন।
জানা গিয়েছে, এই কমিটির কথা জানানো হয়নি নিকাশি দফতরের দায়িত্বে থাকা পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তারক সিংকেই! কেন তাঁকে কমিটি গঠনের কথা জানানো হল না? সূত্রের খবর, প্রত্যেক বছর বৃষ্টিতেই জলমগ্ন অবস্থা হয় শহরের। তাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে কলকাতার যোগাযোগ। এই বছরের বর্ষাতেও ব্যতিক্রম হয়নি। তাই তারকবাবুকে এড়িয়ে এই কমিটি করা হল বলে মনে করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে অবশ্য তারকবাবু বলেন, ‘উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের বিষয়টি আমি জানতাম না। তবে জানাটা বাধ্যতামূলকও নয়। কাজ হওয়াটা বাধ্যতামূলক। এখন আইন অনুযায়ী পুর কর্তৃপক্ষ এমন কমিটি তৈরি করতেই পারেন।’ সুতরাং তিনি বিতর্ক বাড়াতে চাননি। তবে তিনি স্বীকার করেছেন কমিটি গড়ার আগে তিনি জানতেন না। পরে জানেন।
কিন্তু একদিকে নিকাশি দফতর রয়েছে। তার উপর জলের কমিটি কাজ করলে সমস্যা হবে না? তারকবাবুর জবাব, ‘কোনও সমস্যা হবে না। কারণ বৈঠকের পরে কমিটির সিদ্ধান্ত আমরা সবাই জানতে পারি। আর কমিটির কোনও প্রস্তাব নিয়ে কিছু বলার থাকলে তখন সেটা বলি। তখন কমিটি ওই প্রস্তাব বা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে।’