১৫০ বছরে পা দিল কলকাতার নিউ মার্কেট। এখনও নিউ মার্কেটে গেলে অনুভব করা যায় সেই প্রাচীন কলকাতাকে।
কেমন আছে কলকাতার নিউ মার্কেট? কী বলছেন ব্যবসায়ীরা?
খোঁজ নিল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
নিউ মার্কেটের ইতিহাস
১৮৭৪ সালে পথ চলা শুরু হয়েছিল এই মার্কেটের। কলকাতার বহু উত্থান পতনের সাক্ষী এই মার্কেট। নামে নিউ মার্কেট। কিন্তু আদতে বয়স হয়েছে অনেকটাই। স্যার স্টুয়ার্ট হগ মার্কেট নামেও পরিচিত। ১লা জানুয়ারী ১৮৭৪ সালে শুরু হয়েছিল এই নিউ মার্কেট। বর্তমানে কলকাতা পুরসভা এই মার্কেটের দেখভাল করে। প্রায় ২৭০০ দোকান রয়েছে এখানে। ইতিহাস বলছে ব্রিটিশ জমানায় ইস্ট ইন্ডিয়া রেল কোম্পানির স্থপতি রিচার্ড রশকেল বেন এই নিউ মার্কেটের নকশা তৈরি করেছিলেন। এজন্য পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি। সূত্রের খবর নিউ মার্কেট সংস্কারের ক্ষেত্রে এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তা নেওয়া হতে পারে। কারণ এটা হেরিটেজ সম্পত্তি। সেক্ষেত্রে এর মূল গঠনের কোনও ক্ষতি না করেই যাবতীয় মেরামতি করাটা প্রয়োজন।
কেমন আছে কলকাতার হেরিটেজ, কলকাতার অহঙ্কার সেই নিউ মার্কেট?
প্রশ্নটা শুনেই নিউ মার্কেটের একাধিক ব্যবসায়ীর দাবি, আমরা আজ অবহেলার শিকার। পুরসভাকে একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এমনকী ১৫০ বছর পালনের জন্যও একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। নমো নমো করে কোনও রকমে জানুয়ারি মাসে একটু আলো দিয়ে সাজিয়েছিল। তারপর আবার যে কে সেই।
একটা সময় কলকাতায় আসা বিদেশি অতিথিরা একবার হলেও নিউ মার্কেটে যেতেন। বাংলাদেশ থেকে আসা পর্যটকদের কাছে আজও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু নিউ মার্কেট। তবে সেই মার্কেটই আজ নানা সমস্যায় জর্জরিত। একাধিক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, নিকাশির প্রচন্ড সমস্যা। পার্কিংয়ে সেভাবে ভালো কোনও ব্যবস্থা নেই। বিগতদিনে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হলেও তা বন্ধ হয়ে যায়। একাধিক জায়গা জীর্ণ হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গেই হকারদের একাংশের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের কিছুটা দ্বন্দ্ব থেকেই গিয়েছে। কারণ হকারদের দাপটে ক্রেতারা মূল নিউ মার্কেটে অনেক সময়ই যান না।
কী বললেন ব্যবসায়ীরা?
এসএস হগ মার্কেট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনে সম্পাদক উদয় কুমার শাহু হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, নিউ মার্কেট ১৫০ বছরে পা দিল। নানা সমস্যায় জর্জরিত। পার্কিং, নিকাশির ভালো ব্যবস্থা নেই। কিছু মেরামতির কথা আমরাও শুনেছি। কিন্তু সেটা কীভাবে হবে সেটা জানি না। সভাপতি অশোক কুমার গুপ্তা বলেন, অনেক কিছুই শুনি। কিন্তু বাস্তবে কবে সমস্যা মিটবে জানা নেই।
তবে সূত্রের খবর, ১৮ কোটি টাকা অনুমোদন হয়েছে। জুলাই মাসের পর থেকে মেরামতির কিছু কাজ হতে পারে নিউ মার্কেটে।