বাড়ি থেকে এক কলেজ ছাত্রীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে অভিযোগ তুললেন দীপ্সিতা ধর। সিপিআইএম নেত্রী বলেন, ‘যোগেশচন্দ্র কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাড়ির লোকের কথা অনুযায়ী, দরজা ভেঙে ঘুমন্ত মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ কোনওরকম কোনও কাগজ দেখাতে পারেনি।’ এমনকী প্রাথমিকভাবে ওই ছাত্রীকে ‘ট্রেস’ করা যাচ্ছিল না বলে দাবি করেন দীপ্সিতা। পরে অবশ্য তিনি দাবি করেন, ওই ছাত্রীকে যাদবপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও সূত্র উদ্ধৃত করে টিভি নাইন বাংলার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে ওই ছাত্রীকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যাদবপুর থানায় মহিলা সেল ছিল না। সেজন্য তাঁকে লালবাজারে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। যদিও বিষয়টি নিয়ে পুলিশের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
কেন গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ছাত্রীকে?
সূত্র উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপে ‘প্রতিবাদ’ নামে একটি গ্রুপ আছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যে গ্রুপে ওই ছাত্রীও আছেন বলে দাবি করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ওই হোয়্যাটসঅ্যাপে বিভিন্ন মন্তব্য করা হচ্ছিল। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি থানা জ্বালিয়ে দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
সেইসঙ্গে অভিযোগ উঠেছে যে কালীঘাটে জমায়েত করারও পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে সূত্র উদ্ধৃত করে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ওইসব অভিযোগের ভিত্তিতেই দক্ষিণ কলকাতার যোগেশচন্দ্র কলেজের ছাত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় রুজু করা হয়েছে। যে ছাত্রীর বাড়ি গড়ফায় বলে দাবি করেছেন দীপ্সিতা।
RG কর কাণ্ড নিয়ে প্রশ্নের মুখে পুলিশ
উল্লেখ্য, এমন সময় পুলিশের বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীকে গ্রেফতারির অভিযোগ তুলেছেন দীপ্সিতা, যখন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ঘটনায় একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়েছে লালবাজার। তথ্যপ্রমাণ লোপাট, চাপ দিয়ে তরুণী চিকিৎসকের দেহ দাহ করা, তরুণী চিকিৎসকের পরিবারকে টাকা ‘অফার’ করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
পুলিশ কমিশনারের ইস্তফার দাবিও উঠেছে
সেইসঙ্গে গত ১৪ অগস্ট রাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তাণ্ডবের ঘটনার পরে পুলিশের বিরুদ্ধে তুমুল জনরোষ তৈরি হয়েছে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের ইস্তফারও দাবি উঠেছে। যে দাবিতে লালবাজার অভিযান করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এখন যে স্বাস্থ্য ভবন অভিযান চলছে, তাতেও যে দাবিগুলি তোলা হচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে বিনীতের ইস্তফার বিষয়টিও।