২৪ ঘণ্টার মধ্যে জোড়াবাগানে নাবালিকা খুনের কিনারা করল কলকাতা পুলিশ। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে বাড়ির কেয়ারটেকারকে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যৌন নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। সঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন, খাবারের লোভ দেখিয়ে নাবালিকাকে নিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত।
বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার জোড়াবাগানের বৈষ্ণব শেঠ লেনের একটি বহুতলের সিঁড়ি থেকে মেলে এক নাবালিকার দেহ। তাঁর গলার নলি কাটা ছিল। শরীরে ছিল না পোশাক। চারটি দাঁতও ছিল ভাঙা। দেহ উদ্ধারের পর তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ। রাতে ঘটনার তদন্তভার নেয় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। একের পর এক সন্দেহভাজনকে জেরা করতে থাকে তারা। জেরার মুখে অপরাধ কবুল করে বাড়ির কেয়ারটেকার।
জেরায় সে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে মোবাইল ফোনে চাইল্ড পর্ণগ্রাফি দেখতে দেখতে মদ্যপান করছিল সে। তখনই শিশুটি তার চোখে পড়ে। খাবারের লোভ দেখিয়ে তাকে ছাদে নিয়ে যায় সে। এর পর সেখানে তাকে বিরিয়ারি ও চিপস খাওয়ায়। খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দেয় মাদক। এতে শিশুটি অচৈতন্য হয়ে পড়লে তাকে যৌন নির্যাতন করে অভিযুক্ত। এরই মধ্যে নাবালিকার সংজ্ঞা ফিরে এলে বাধা দেয় সে। পালটা তার মুখে ঘুসি চালায় অভিযুক্ত। তাতে নাবালিকার সামনের ৪টি দাঁত ভেঙে যায়। এর পর নাবালিকাকে সিঁড়িতে নিয়ে গিয়ে গলা টিপে খুন করে ওই যুবক। শিশুটির মৃত্যুর পর তার গলায় ছুরি চালায় অভিযুক্ত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তে নাবালিকার যোনিতে যৌন নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে। পেটে মিলেছে বিরিয়ানি ও চিপস। ভাঙা দাঁতগুলিও উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা।