রক্ষকই ভক্ষক! ফের চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ উঠল পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে কলকাতা কলকাতা পুলিশের এক এএসআই ও তাঁর স্ত্রী এবং এক সিভিক ভলেন্টিয়ার-সহ চারজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজন হলেন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান ও বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্য। শনিবার বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত এএসআইয়ের নাম সঞ্জীব দেঁড়ে। তিনি বেনিয়াপুকুর থানায় কর্মরত ছিলেন। তার আগে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগে ছিলেন ওই এএসআই। মাসখানেক আগে বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা আখতার বানু অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তাঁর ছেলেকে মন্ত্রীর কোটায় স্বাস্থ্য বিভাগে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল অভিযুক্তরা। এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর কাছ থেকে তারা কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু, প্রতিশ্রুতি মতো চাকরি না হওয়ায় তিনি টাকা ফেরত চান। সেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এরপরে থানায় অভিযোগ জানান ওই ব্যক্তি। সেই অভিযোগ পেয়ে গোপনে তদন্ত শুরু করেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।
অবশেষে বিকেলে হাওড়ার উলুবেড়িয়া-২ ব্লকের খলিসানি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান ও বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্য বর্ণালী ও তাঁর স্বামী সঞ্জীবকে গোয়েন্দারা হাওড়ার বাউড়িয়ার বুড়িখালির একটি বহুতল থেকে গ্রেফতার করেন। এছাড়া, এক সিভিক ভিলেন্টিয়ারকেও গ্রেফতার করা হয়। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম সৈকত দে ওরফে টিটু। তিনি গোয়েন্দা বিভাগের রিসেপশনে কর্মরত ছিলেন। ধৃত অপর জনের নাম হল কার্তিক মান্না। তবে তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। ধৃতদের আজ, রবিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হবে। এই ঘটনায় লালবাজারের এক শীর্ষ কর্তার অফিসের কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, অভিযুক্তরা চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন। এমনকী তারা প্রতারকদের স্বাস্থ্য দফতরের বেশ কিছু নথিও দিয়েছিলেন। বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে আরও দুজন পুলিশ কর্মী জড়িত রয়েছে বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। উল্লেখ্য, গত মাসে ডাকাতির অভিযোগে পুলিশকর্মী এবং সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। যার মধ্যে আছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি-র এক রক্ষীও।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup