আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় আরও ৫ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই অবস্থায় এই ঘটনায় গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে হল ৩৭ জন। রবিবার নতুন করে এই ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে গত ১৪ অগস্ট মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচি চলাকালীন আরজি কর হাসপাতালে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠে। সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হয় সেই তাণ্ডবের দৃশ্য। তারপরেই ধরপাকড় শুরু করে লালবাজার। কী উদ্দেশ্যে ওই রাতে আরজি করে তাণ্ডব চালানো হয়েছিল তা জানার জন্য ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘ভালো ছেলে যদি খারাপ হয়ে যায়…’ শাস্তি চান? HT Bangla-তে বিস্ফোরক সঞ্জয়ের মা
আরজি করের পাশবিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল গোটা দেশ। তার মধ্যেই বুধবার মধ্যরাতে ‘মেয়েদের রাত দখল’- এর কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচি চলাকালীনই তাণ্ডব চালানো হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে। বাইরে থেকে প্রচুর লোকজন এসে হাসপাতালে তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। তাতে ভাঙচুর করা হয়েছে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টার, এইচসিসিইউ (হাইব্রিড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), সিসিইউ (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট)। প্রায় কয়েক হাজার মানুষ তাণ্ডব চালানোর সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় জখম হয়েছিলেন আন্দোলনরত চিকিৎসক থেকে শুরু করে পুলিশ কর্মীরা। পুলিশের এক আধিকারিক গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন। এই ঘটনার পরেই বিরোধীদের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তারপরেই পুলিশ একে একে হামলাকারীদের শনাক্ত করে ধরপাকড় চালায়।
এদিকে, এই ঘটনার পরে কলকাতা হাইকোর্টও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তিনি রাতে বিভিন্ন সময়ের দুটি ভিডিয়ো দেখিয়ে কীভাবে কয়েক হাজার মানুষ হাসপাতালে ঢুকে পড়ে হামলা চালিয়েছিল সে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন।
ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়ে নগরপাল বলেছিলেন, ‘আরজি করের প্রতিবাদ আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণ বলেই পুলিশের মনে হয়েছিল। কিন্তু, এইভাবে যে আন্দোলন হঠাৎ করে হিংসাত্মক হয়ে উঠবে তা পুলিশ আন্দাজ করতে পারেনি। এটাকে আমাদের ব্যর্থতা বলতে পারেন।’ একইসঙ্গে তিনি দাবি করেছিলেন, আরজি করের ডিসিপি পদমর্যাদার অফিসার হামলায় আহত হয়েছিলেন। তারপরে পুলিশ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।