মধ্যরাতের কলকাতায় বলিউডি স্ট্রিট ফাইট! একদিকে, তিন যুবক। আর অন্যদিকে, আরও এক যুবক - একা। কিন্তু, একা হলেই বা কী! সূত্রের দাবি, ওই একলা যুবকই নাকি অন্য তিন যুবককে ঘুসি, লাথি মেরে তাঁদের নাক মুখ ফাটিয়ে দিয়েছেন। যার জন্য পরে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ওই যুবকের নাম আমন চৌধুরী। তিনি একজন জাতীয়স্তরের কিক বক্সার!
ঘটনা ঠিক কী?
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ধৃত আমন চৌধুরী কলকাতার বন্দর এলাকার একবালপুরের বাসিন্দা। অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবার কিক বক্সিংয়ের প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলেন তিনি।
অভিযোগ, ফেরার পথে একটি চারচাকা গাড়ি বারাবার তাঁর বাইকের পথ আটকাচ্ছিল। আমন গাড়িটিকে পাশ কাটিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করলেও তাঁকে সেই জায়গা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
এরপর রাত ১২টা নাগাদ আলিপুর থানা এলাকার এসবিআই মোড়ে আমনের বাইক আটকে চারচাকা ওই গাড়িটি দাঁড়িয়ে পড়ে। রাস্তা ছাড়ার জন্য আমন বারবার তাঁর বাইকের হর্ন বাজাতে থাকেন।
এরপর গাড়ি থেকে তিন যুবক নেমে আসেন। তাঁদের নেমে আসতে দেখে আমনও তাঁর বাইক থেকে নেমে পড়েন। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা এবং তারপর হাতাহাতি শুরু হয়।
কিন্তু, জাতীয়স্তরের কিক বক্সার আমনের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারেননি অন্য তিন যুবক। আমন একাই ঘুসি আর লাথি মেরে তিন যুবককে ধরাশায়ী করে দেন। তাঁদের নাক-মুখ ফেটে যায় বলে অভিযোগ। এরপর আমন সেখান থেকে বাইকে নিয়ে চলে যান।
এরপর ওই তিন যুবক স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমনের বাইকের নম্বর পাওয়া যায়। এবং সেই সূত্র ধরেই পরে আমনকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে আলিপুর থানার পুলিশ।
ঘটনা ঘিরে দাবি ও পালটা দাবি:
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় আহত তিন যুবকের বক্তব্য, মধ্যরাতে বারবার এবং অত্যন্ত জোরে বাইকের হর্ন বাজাচ্ছিলেন আমন। তাঁরা তার প্রতিবাদ করেছিলেন বলেই নাকি আমন তাঁদের মারধর করেন এবং তাঁদের আহত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রেখে সেখান থেকে পালিয়ে যান।
অন্যদিকে, আমনের বক্তব্য, চারচাকা গাড়িতে থাকা ওই তিন যুবক মদ্যপ ছিলেন। তাঁরা ইচ্ছা করেই আমনের পথ আটাকাচ্ছিলেন। এমনকী, তাঁরাই প্রথম গাড়ি থেকে নেমে আসেন এবং আমনকে উদ্দেশ করে গালিগালাজ করেন। তার জেরেই বচসা ও হাতাহাতি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তাকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে, পুলিশ গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ঘটনাপ্রবাহ বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে।