অবশেষে গার্ডেনরিচ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত আমির খানকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। তার গার্ডেনরিচের বাড়ি থেকে প্রায় ১৮ কোটি টাকা উদ্ধার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তারপর থেকেই আমির খানকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। অভিযানের সময় থেকে আমির খান পলাতক ছিল। অবশেষে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে কলকাতা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন: খাটের নীচে ১৭ কোটির পাহাড়, আর কোন প্রভাবশালী যুক্ত গার্ডেনরিচ কাণ্ডে?
মূলত অনলাইন গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে আমির খানের বিরুদ্ধে। তার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হওয়ার পরেই এতদিন বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছিল আমির খান। শুধু ইডি নয় কলকাতা পুলিশও গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছিল। ইডির স্ক্যানারে আসার আগেই গত বছর কলকাতার আমির খানের বিরুদ্ধে পার্কস্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ইডির অভিযানের পর ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। স্বাভাবিকভাবেই কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। এরপরে তাকে গ্রেফতারের জন্য উঠে পড়ে নামে কলকাতা পুলিশও। অবশেষে পুলিশের একটি দল গাজিয়াবাদে হানা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের এক ঘনিষ্টের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল আমির খান। তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসবে পুলিশ। এরপর নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানাতে পারে পুলিশ। যেহেতু তার বাড়ি থেকে প্রায় ১৮ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাই ইডিও তাকে নিজেদের হেফাজতের চেয়ে আবেদন জানাতে পারে।
গত ১০ সেপ্টেম্বর গার্ডেনরিচের শাহী আস্তাবল গলিতে অবস্থিত আমিরের দোতলার বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। ঘরের খাটের নিচে প্লাস্টিকের থলিতে ওই টাকা রাখা হয়েছিল। তার বাড়ি থেকে যে টাকা উদ্ধার হয়েছিল তার মধ্যে ছিল ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোট। এনিয়ে শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক তরজা।