এবার মিঠুন চক্রবর্তীকে ভার্চুয়াল জিজ্ঞাসাবাদ করল মানিকতলা থানার পুলিশ। নির্বাচনী প্রচারে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার জেরেই জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হল মহাগুরুকে। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, ১৫ মিনিট ধরে মিঠুন চক্রবর্তীকে প্রশ্ন করেন মানিকতলা থানার পুলিশ আধিকারিকরা। সকাল ১০টার সময় ভার্চুয়াল জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছিল। ১০টা ২০ মিনিট নাগাদ পুণে থেকে মানিকতলা থানার সঙ্গে কথা বলেন বাঙালি অভিনেতা। তাঁর বিরূদ্ধে অভিযোগ, বিভিন্ন জনসভায় নিজের ছবির সংলাপ বলে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন তিনি। আজ মিঠন চক্রবর্তীর জন্মদিন। সেদিনই এই ফোন কার্যত পুরষ্কার বলে কটাক্ষ করেছেন অনেকে।
ঠিক কী বলেছিলেন মহাগুরু? পুলিশ সূত্রে খবর, ‘মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে…’, সিনেমার এই বিখ্যাত সংলাপ ব্যবহার করেছিলেন তিনি। তাতে একুশের নির্বাচনে হিংলা ছড়িয়ে পড়েছিল। এখন তার জেরে বিড়ম্বনায় পড়তে হল তাঁকে। রাজ্যজুড়ে হিংসা ছড়ানো এবং শান্তি বিঘ্নিত করার অভিযোগে মানিকতলা থানায় অভিযোগ জমা পড়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ভারতীয় দন্ডবিধির ১৫৩(এ), ৫০৪, ৫০৫ একাধিক ধারায় এফআইএর দায়ের হয়। এরপর হাইকোর্টে মামলা খারিজের আবেদন করেন মিঠুন চক্রবর্তী।
একুশের নির্বাচনী প্রচারে ‘এক ছোবলেই ছবি’, ‘জাত গোখরো’–র মতো সংলাপ বলতে শোনা গিয়েছিল মিঠুন চক্রবর্তীকে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই ভার্চুয়ালি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মানিকতলা থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তকারীরা জানতে চান, এই মন্তব্য করার কারণ কী? এই মন্তব্যের আড়ালে কি কোনও অন্য উদ্দেশ্য ছিল? এইসব প্রশ্ন করেন মানিকতলা থানার তদন্তকারী আধিকারকিরা। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে এই জিজ্ঞাসাবাদ।
উল্লেখ্য, ব্রিগেডের মঞ্চে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন পদ্ম–পতাকা। তখন ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে অসংখ্য মানুষের ভিড়। তাঁদের সিংহভাগ মহাগুরুর ভক্তও। সেখানে দর্শকদের ইচ্ছায় নিজের সিনেমার বিখ্যাত সংলাপ বলেছিলেন তিনি। যা উস্কানিমূলক বলে মনে করে পুলিশ–প্রশাসন। উস্কানিমূলক মন্তব্য, ষড়যন্ত্রে মদত দেওয়া এই ধরণের নানা অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।