ছট পুজোতে পরিবেশ দূষণ নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। প্রতিবছর ছট পুজোতে রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবর দূষিত হওয়ার অভিযোগ তোলেন পরিবেশবিদরা। তবে আদালতের রায়ে পরিস্থিতি বদলেছে। গতবছরের মতো এবছরও বন্ধ থাকছে রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবর। গত ৯ নভেম্বর থেকে শুরু করে ১১ নভেম্বর সন্ধে ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবর। এদিকে যাতে কোনও ভাবে সরোবরের জল দূষিত করে পুজো না করা হয়, তার দিকে কড়া নজর রেখেছে কলকাতা পুলিশ। রবীন্দ্র সরোবরে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে গেটে। যেখানে দেওয়াল নিচু, সেখানেই একই আয়োজন। পাশাপাশি রবীন্দ্র সরোবর জুড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো করা নিয়ে গন্ডগোল চরম আকার নিয়েছিল। সরোবরের গেটের তালা ভেঙে দেন কয়েকজন। প্রাতঃভ্রমণকারীদের সঙ্গে রীতিমতো বচসা বেধে যায় ছটপুজো করতে আসা যুবকদের। সরোবর থানা থেকে পুলিশ কর্মীরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। কিন্তু দুপুর গড়াতে যথারীতি রবীন্দ্র সরোবরের তালা ভেঙে শুরু হয়ে যায় ছট পুজো। পুলিশ কর্মীরাও তা আটকাতে পারেননি। লালবাজার সূত্রের খবর, ছটপুজোর দিন রবীন্দ্র সরোবর লেকের ধারে থাকবে কলকাতা পুলিশ। কোনও প্রকারের অপ্রিয় ঘটনা সামনে এলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে শহর জুড়ে আটটি কৃত্তিম জলাশয় তৈরি করা হয়েছে ছট পুজো উপলক্ষে। প্রসঙ্গত, রবীন্দ্র সরোবরকে দক্ষিণ কলকাতার ফুসফুস বলা হয়। তবে ছট পুজোর সময় এই লেকের জল দূষিত করা হত। তাছাড়া, পার্কের গাছগুলিকে লক্ষ্য করে ইচ্ছাকৃত চকোলেট বোমা ছোড়ার ঘটনাও ঘটত। এর জেরে গাছে বাসা বাঁধা পাখিরাও মারা যেত বলে অভিযোগ। সেই সব ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার ব্যবস্থা পুলিশের।