সোমবার রাতে সুলেখা মোড়ে যাদবপুরের পড়ুয়াদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের পর বাহিনীকে সংযত হতে পরামর্শ দিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ কুমার। ছাত্রদের মিছিল নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পুলিশকে চরম ধৈর্যশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। লাঠিচার্জের জন্য সোমবার রাতেই সংবাদমাধ্যমের সামনে ছাত্রদের কাছে ক্ষমা চান ডিসি, এসএসডি সুধীর সরকার।
সোমবার রাত ৭.৩০ মিনিট দক্ষিণ শহরতলির সুলেখা মোড়ে ধুন্ধুমার বাঁধে। তখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিল করে সুলেখার দিকে আসছিলেন পড়ুয়ারা। ওদিকে বাঘাযতীনের দিকে মিছিল করে আসছিল বিজেপি। সুলেখা মোড়ে ব্যারিকেড করে ২টি মিছিলই আটকায় পুলিশ। এরই মধ্যে সেখানে এসে পৌঁছয় এসএফআইয়ের মিছিল। উত্তেজনা আরও বাড়ে। ঘটনার জেরে দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে থাকে সুলেখা মোড়।
জট কাটাতে সব পক্ষকে ৫ মিনিটের মধ্যে এলাকা খালি করে দিতে বলে পুলিশ। তার পরও পড়ুয়ারা না সরায় লাঠি চালান পুলিশকর্মীরা। তাতে যাদবপুরের বেশ কয়েকজন পড়ুয়া আহত হয়েছেন বলে দাবি। তাদের বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় বলেও খবর।
ঘটনার পর সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষমা চান কলকাতা পুলিশের ডিসি, এসএসডি সুধীর সরকার। বলেন, 'লাঠি চালানোর উদ্দেশ্য আমাদের ছিল না। কারও আঘাত লেগে থাকলে আমরা ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।'
এর পরই মঙ্গলবার বাহিনীর জন্য একটি নির্দেশিকা জারি করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ কুমার। তাতে ছাত্রদের মিছিল নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশকে চরম সংযত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মনে করিয়েছেন, আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখাই পুলিশের কাজ। বলেছেন, 'CAA বিরোধী যে সব মিছিল শহরে হয়েছে তা নিয়ন্ত্রণে চরম সংযম ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে বাহিনী। ছাত্রদের মিছিল নিয়ন্ত্রণে আরও সংযত ও ধৈর্যশীল থাকতে হবে তাদের।'
কলকাতার পুলিশ কমিশনারের এহেন মন্তব্যে রাজনৈতিক যোগ দেখছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাদের মতে, CAA বিরোধিতায় যে ভাবে বামপন্থীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে তাতে আদতে ফয়দা হবে তৃণমূলের। সিপিএম বা কংগ্রেস নয়, বিজেপি বিরোধী ভোট জড়ো হবে তৃণমূলেরই বাক্সে। তাই এই ব্যাপারে বামেদের কিছুটা পরিসর দিতে আপত্তি নেই শাসক তৃণমূলের।