ভবানীপুরের হোটেলে স্বর্ণব্যবসায়ী শান্তিলাল বৈদ্যর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় আদালতে চার্জশিট পেশ করল পুলিশ। ঘটনায় বিমল শর্মা নামে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অপহরণ, খুন-সহ একাধিক ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় এখনো অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি কলকাতা পুলিশ।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভবনীপুরের শম্ভুনাথ পণ্ডিত রোডের একটি গেস্ট হাউজ থেকে উদ্ধার হয় ব্যবসায়ী শান্তিলাল বৈদ্যের দেহ। পরিবারের তরফে জানানো হয়, সন্ধ্যায় একটি ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। এর পর তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে বলে দাবি করে শান্তিলালবাবুর ফোন থেকেই বাড়িতে ফোন করে এক যুবক। ফোনে ২৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে সে। জানায় ভিক্টোরিয়ার মেইন গেটের সামনে দিতে হবে টাকা।
সেই মতো টাকা নিয়ে ভিক্টোরিয়ার মেইন গেটের সামনে এসে দাঁড়ায় একটি ট্যাক্সি। টাকার ব্যাগ নিয়ে হাওড়ার স্টেশনের দিকে চলে যায় অভিযুক্ত। যাওয়ার সময় শান্তিলালবাবুর ফোন দিয়ে যায় সে। এর কিছুক্ষণ পর শম্ভুলাল পণ্ডিত রোডের গেস্ট হাউজে উদ্ধার হয় শান্তিলালবাবুর দেহ।
তদন্তে নেমে বিপাকে পড়েন গোয়েন্দারা। অভিযুক্ত শান্তিলালবাবুর ফোন ব্যবহার করায় তার ফোন নম্বর জানতে পারেনি কেউ। তবে হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে গোয়েন্দারা জানতে পারেন ধৃতের নাম বিমল শর্মা। জেরা করা হয় ট্যাক্সিচালককেও। অভিযুক্তকে ধরতে বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশকে সতর্ক করেছে কলকাতা পুলিশ।
সোমবার সেই ঘটনায় ২২০ পাতার চার্জশিট পেশ করেছেন তদন্তকারীরা।