রবীন্দ্রভারতীর বসন্তোৎসবে কুকথা কাণ্ডের তদন্তে এবার বিশেষ টিম গঠন করল কলকাতা পুলিশ। ঘটনার মূল মাথা কারা? যে ছবি ও ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে তার কতটা সত্য? তা খতিয়ে দেখবে ওই দলটি। দলে রয়েছেন একাধিক সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞ। ওই দলের দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পদক্ষেপ করবে পুলিশ।
লালবাজার সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার তরুণীদের পিঠে কুকথা লেখা যে ছবি ভাইরাল হয়েছে তা ফটোশপের কারসাজি কি না তা খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের গানে কুকথা বসিয়ে যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে তার সত্যতাও খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। ছবি ও ভিডিয়োর সত্যতা প্রমাণিত হলে শুরু হবে পরবর্তী পর্যায়ের তদন্ত।
বৃহস্পতিবার ছিল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্তোৎসব। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন বাইরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা। অভিযোগ, সেখানেই পিঠে বুকে রং দিয়ে কুকথা লিখে ঘুরতে দেখা যায় পড়ুয়াদের। এমনকী তাদের ছবিও তোলেন কেউ কেউ। সেই ছবি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ভাইরাল হতে শুরু করে।
রাত পোহাতে পোহাতে ফেসবুকে চরম আকার ধারণ করে সেই বিক্ষোভ। চাপের মুখে শুক্রবার সিঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে ঘটনার দায় স্বীকার করে ক্ষমা চান ৫ অভিযুক্ত। ওদিকে সন্ধ্যায় হঠাৎই ইস্তফা দেন রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী।
ঘটনার নিন্দা করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ তাদের বিবেচনা অনুসারে পদক্ষেপ করবেন বলে জানান তিনি। শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে পার্থবাবু বলেন, ‘এই সরকার অপসংস্কৃতিকে মদত দেয় না। যারা এই কাজ করেছে তারা শাস্তি পাবে। সঙ্গে ছাত্রীদের বোঝাতেও হবে।’