আরজি কর কাণ্ডে সিভিক ভলান্টিয়ারের গ্রেফতারিতে মুখ পুড়েছে কলকাতা পুলিশের। তার ওপরে সেই সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে পুলিশ ব্যারাক থেকেই গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। আর তাতেই উঠে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। যে পুলিশ আধিকারিকের মদতে সঞ্জয়ের বাড়বাড়ন্ত, সেই সাব ইন্সপেক্টর অনুপ দত্তের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করল লালবাজার। সূত্রের খবর, দোষী প্রমাণিত হলে তাঁকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে।
আরও পড়ুন - শৌচালয়ের দেখভালও করতে পারে না! পূর্ত দফতরের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ আদালত
পড়তে থাকুন - মালদায় কিশোরীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত হাতুড়ে ডাক্তার, ৯ দিনেই চার্জশিট দিল পুলিশ
গত ৯ অগাস্ট ভোর রাতে আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় বিধাননগরে কলকাতা পুলিশের চতুর্থ ব্যাটেলিয়নের ব্যারাক থেকে সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পরই জানা যায়, পুলিশ ব্যারাকেই থাকত ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। সেখানেই ডেরা ছিল তার। অনুপ দত্ত নামে এক সাব ইন্সপেক্টরের মদতে পুলিশ ব্যারাকে অবাধ যাতায়াত ছিল সঞ্জয়ের। ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়ে অনুপ দত্তকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে জেরা করে সিবিআই। প্রথম দিন হাজিরা দিতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের দেখে তাঁর দৌড় ভাইরাল হয়েছিল। এর পর জানা যায়, তিনি দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বাদামাইলের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে থাকেন কলকাতায়। এর পরও অনুপবাবুকে একাধিকবার জেরা করে লালবাজার। এমনকী পলিগ্রাফ টেস্ট হয় তাঁর। যদিও সংবাদমাধ্যমের সামনে আজ পর্যন্ত কোনও কথা বলেননি তিনি।
আরও পড়ুন - ‘ইহা পে আরজি কর হো জায়েগা’, বেসরকারি হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসককে হুমকি
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুপ দত্ত পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্য। নিজের কাজ নিজে করতেন না তিনি। তার বদলে সঞ্জয় রায়ের মতো কয়েকজন পেটোয়া রেখে দিয়েছিলেন। তারাই বিভিন্ন হাসপাতালে অনুপবাবুর কাজ করে দিত। সেই অনুপ দত্তর বিরুদ্ধে এবার বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে লালবাজার। দোষী প্রমাণিত হলে তাঁর চাকরি চলে যেতে পারে বলে সূত্রের খবর।