সম্পন্ন হয়েছে দুর্গোৎসব। এবার আসছে কালীপুজো। শহরজুড়ে এখন থেকেই উৎসবের আমেজ। এবার আলোকোৎসবের দিনগুলো যাতে নির্বিঘ্নে কাটে, তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত কলকাতা পুলিশ। শব্দদূষণ থেকে শুরু করে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিটি দিকেই নজরদারির প্রস্তুতি তুঙ্গে উঠেছে লালবাজারে।
আরও পড়ুন: বেহালা নূতন দলের পুজো মণ্ডপে আচমকাই লুটিয়ে পড়লেন মহিলা, মর্মান্তিক মৃত্যু!
আগামী ১৫ অক্টোবর আলিপুরের ধনধান্য অডিটোরিয়ামে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে চলেছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। উপস্থিত থাকবেন শহরের সমস্ত বিখ্যাত কালীপুজো উদ্যাপন কমিটির প্রতিনিধিরা প্রতিটি কমিটি থেকে দু’জন করে প্রতিনিধি। পাশাপাশি থাকবেন কলকাতা পুরসভা, দমকল দফতর, সিইএসসি এবং রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিকরাও। কারণ, এই বৈঠকে শব্দদূষণ রোধে কঠোর নীতি, মাইক ব্যবহারের সময়সীমা এবং প্রতিমা বিসর্জনের নিয়মাবলি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া। কলকাতা হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই দীপাবলির রাতে শব্দসীমা ৯০ ডেসিবেল নির্ধারণ করেছে। সেই নির্দেশ যেন বাস্তবে কার্যকর হয়, তা নিশ্চিত করতেই পুলিশের এই আগাম প্রস্তুতি। পুলিশ সূত্রের দাবি, নিষিদ্ধ শব্দবাজি এ বছর একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না। উৎসবের আনন্দের আড়ালে যদি কেউ বেআইনি পটকা ব্যবহার করে বা মাইক বাজনার নিয়ম ভাঙে, তবে সরাসরি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা স্পষ্ট জানিয়েছেন, এ বার নজরদারি আগের চেয়ে আরও কড়া হবে। প্রতিটি থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নিজ নিজ এলাকায় টহল জোরদার করার জন্য। শব্দবাজি নিয়ে কোনও রকম ছাড় নয়। শুধু শব্দবাজি নয়, জনস্রোত সামলাতেও শহরে থাকবে নজিরবিহীন প্রস্তুতি। উৎসবের দিনগুলোতে মোতায়েন থাকবে অতিরিক্ত পুলিশ, মোবাইল প্যাট্রল ভ্যান এবং প্রয়োজনে ড্রোন ক্যামেরা। কোথাও অতিরিক্ত ভিড় বা বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে হস্তক্ষেপ করবে কন্ট্রোল রুম।
পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, উৎসব মানে আনন্দ, কিন্তু সেই আনন্দে যেন কোনও দুর্ঘটনা, অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেটাই পুলিশের প্রধান লক্ষ্য। ২০ অক্টোবর কালীপুজো। তার আগে ১৫ অক্টোবরের এই বৈঠকেই পুজো কমিটিগুলির ওপর সব দায়িত্ব এবং নিয়ম স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।