দর্গাপুজোর আবহে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে জুনিয়র চিকিৎসকদের অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান আন্দোলনে বসার অনুমতি দিল না কলকাতা পুলিশ।
একইসঙ্গে, শুক্রবার রাতে এক জুনিয়র চিকিৎসককে লাথি মারার যে অভিযোগ কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে উঠেছিল, তার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইল না পুলিশ প্রশাসন।
শনিবার সকাল ১০টা ২৮ মিনিটে কলকাতা পুলিশের সদর কার্যালয়ের তরফ থেকে যুগ্ম কমিশনারের নামে একটি জবাবি ইমেল পাঠানো হয়। তাতেই জুনিয়র চিকিৎসকদের মেট্রো চ্যানেলে লাগাতার ধরনায় বসার আবেদন বাতিল করা হচ্ছে বলে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা শুক্রবার রাতেই ঘোষণা করেন, তাঁরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরছেন।
সেইসঙ্গে, রাজ্য সরকারকে ২৪ ঘণ্টার চরম সময়সীমা বেঁধে দেন তাঁরা। বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সময়ের মধ্যে রাজ্য সরকার যদি তাঁদের দাবিদাওয়া না মানে, তাহলে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরু করবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। ততক্ষণ পর্যন্ত ধর্মতলায় তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ চলবে।
এরপরই ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে অবস্থানে বসার অনুমতি চেয়ে কলকাতা পুলিশের কাছে ইমেল করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেইসঙ্গে, শুক্রবার রাতে ধর্মতলায় পুলিশের হাতে এক জুনিয়র চিকিৎসকের নিগৃহীত হওয়ার ঘটনায় নিঃশর্ত ও লিখিত ক্ষমাপ্রার্থনা করার দাবি জানানো হয়।
জবাবে শনিবার সকালে পুলিশের তরফে যে ইমেল পাঠানো হয়, তাতে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আসন্ন পুজোর মরশুমের কথা মাথায় রেখে কোনও অবস্থাতেই জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে অবস্থান বিক্ষোভে বসার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।
কলকাতা পুলিশের যুক্তি, পুজোর মুখে ওই এলাকায় কেনাকাটা করতে আসা মানুষের প্রচুর ভিড় থাকে। পাশাপাশি, এই সময় থেকেই বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে দুর্গাপ্রতিমা পাঠানোর কাজ শুরু হয়। সেইসব গাড়িও ধর্মতলা হয়ে যাতায়াত করে।
এই প্রেক্ষাপটে জুনিয়র চিকিৎসকরা মেট্রো চ্যানেলের মতো ব্যস্ত এলাকায় লাগাতার অবস্থান চালিয়ে গেলে আমজনতার সমস্যা হবে। কারণ, তাতে ভিড় ও যানজট বাড়বে। নাকাল হবেন বাজার করতে আসা ক্রেতা এবং নিত্যযাত্রীরা। সেই কারণেই আন্দোলনকারীদের সংশ্লিষ্ট অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পর এ নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রশ্ন করা হলে তাঁরা অবশ্য বিষয়টিকে আমল দিতে চাননি। বরং তাঁরা তাঁদের অবস্থানে অনড় থেকেই ধর্মতলায় বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন (শেষ পাওয়া খবর অনুসারে)।