আক্রান্তের পাশে দাঁড়ানোর বদলে অভিযুক্তদের সাহায্য করার অভিযোগ এরাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে নতুন নয়। সেই অভিযোগে এবার কলকাতা হাইকোর্টের ব্যাপক ভর্ৎসনার মুখে পড়ল কলকাতা পুলিশ। এমনকী যে সব পুলিশ আধিকারিকরা এই ধরণের কাজে যুক্ত তাঁদের জেলায় বদলি করে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি।
কলকাতার গলফ গ্রিনের বাসিন্দা অভিনব সাহার অভিযোগ, পোষা কুকুরকে নিয়ে বাড়ির সামনে রাস্তায় হাঁটতে বেরিয়েছিলেন তিনি। তখন স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। তার জেরে ব্যাপক মারধর করা হয় অভিনববাবুকে। মারের চোটে ব্যাপক আঘাত পান তিনি। এমনকী শরীরের একাধিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ অসাড় হয়ে যায়। গলফ গ্রিন থানায় অভিযোগ জানালে বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই জামিন পেয়ে যায় তারা। অভিনববাবুর দাবি, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তাতেই জামি পেয়ে গিয়েছে অভিযুক্তরা।
এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, মারধরের জেরে অভিনববাবু যতটা অসুস্থ হয়েছিলেন তার সম্পূর্ণ তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরেনি পুলিশ। তাই অল্প সময়ের মধ্যেই জামিন পেয়ে যান অভিযুক্তরা। যে ভাবে আক্রান্তের পাশে দাঁড়ানোর বদলে পুলিশ আধিকারিকরা অভিযুক্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তা দুর্ভাগ্যজনক। এই পুলিশ আধিকারিকদের জেলায় বদলি করে দেওয়া উচিত।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পুলিশের বিরুদ্ধে বারবার দুষ্কৃতীদের পাশে দাঁড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রে আক্রান্ত থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে দেখেন আগেই তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে গিয়েছে হামলাকারীরা। এমনকী থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে হামলাকারীদের করা অভিযোগের ভিত্তিতে আক্রান্তকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।