আবারও শহর কলকাতায় উদ্ধার হল আগ্নেয়াস্ত্র এবং তাজা কার্তুজ। এবারের ঘটনাস্থল শহরের অন্যতম ব্যস্ত ব্যবসায়িক এলাকা - বড়বাজার। ঘটনায় যে তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা সকলেই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, বড়বাজার এলাকায় যে অস্ত্রসহ কিছু ব্যক্তি আসতে পারেন, এমন একটি আগাম ও গোপন তথ্য কলকাতা পুলিশের এসটিএফ-এর কাছে ছিল।
এসটিএফ-এর এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে, বড়বাজার থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় ঘাপটি মেরে ছিলেন তাঁরা। অপেক্ষা করছিলেন সন্দেহভাজনদের জন্য। হঠাৎই সেখানে একটি গাড়ি এসে পৌঁছয়। সেই গাড়িতে সওয়ার ছিলেন তিনজন এবং গাড়ির নাম্বার প্লেট দেখে বোঝা যাচ্ছিল, সেটি আসলে উত্তরপ্রদেশের।
এরপর ওই গাড়িটিকে থামানো হয় এবং তিন সওয়ারিকে গাড়ি থেকে নামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ওই তিন যুবক পুলিশকে প্রাথমিকভাবে জানান, তাঁরা কলকাতার বড়বাজারে এসেছিলেন ব্যবসার কাজে। কিন্তু, সেই বিস্তারিত কিছু বলতে পারেননি তাঁরা। এতে পুলিশের সন্দেহ আরও বাড়ে।
এরপর উত্তরপ্রদেশের নাম্বার পেল্ট লাগানো ওই গাড়িটি ভালো করে তল্লাশি করা হয়। সেই সময়েই বনেটে এয়ার ক্লিনার ফিল্টারের বাক্স থেকে উদ্ধার হয় গুলি ও দু'টি আগ্নেয়াস্ত্র। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে মোট ১৭ রাউন্ড গুলি এবং একটি নাইন এমএম ও একটি সেভেন এমএম পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।
এরপরই ওই তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়। এবং তাঁদের গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়। ধৃতরা হলেন - মনোজ কুমার, জিতেন্দ্র কুমার এবং সন্তোষ সাহানি। তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ খবর নেওয়ার কাজ ইতিমধ্য়েই শুরু করে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। তাঁরা কোথা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ পেলেন, কেনই বা সেগুলি গাড়ির বনেটে লুকিয়ে কলকাতায় নিয়ে এলেন, সেসব জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি শিয়ালদা স্টেশন লাগোয়া বৈঠকখানা এলাকা থেকেও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। সেই সময়েও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। বারবার শহর কলকাতার জনবহুল এলাকায় এই ধরনের ঘটনা ঘটায় স্বাভাবিকভাবেই আমজমতার নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
যদিও পুলিশ প্রশাসনের বক্তব্য, এই সমস্ত কারণে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। বরং, সতর্ক ও সচেতন থাকাই শ্রেয়। পুলিশের দাবি, তারাও শহরের সুরক্ষা নিয়ে সর্বদা সচেতন। আর সেই কারণেই ভিনরাজ্য থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শহরে ঢুকে পড়া তিন যুবককে পাকড়াও করা সম্ভব হয়েছে।