বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা এবং ইসকনের প্রাক্তন সন্ন্যাসীর গ্রেফতারের আঁচ পড়েছে এবারও বাংলাতেও। এর প্রতিবাদে কলকাতায় উপ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন। সেই প্রতিবাদের সময় বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে মাথা ফেটে যায় এক পুলিশকর্মীর। তারপরই বেকবাগানে অবস্থিত বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিল কলকাতা পুলিশ। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি সিসিটিভির মাধ্যমে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকার অবমাননা হলেও বাংলাদেশি রোগীদের শহরে চিকিৎসা পাওয়া উচিত, মত ফিরহাদের
জানা গিয়েছে, সাধারণত বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের চারটি বুথে তিনজন করে মোট ১২ জন পুলিশ মোতায়েন থাকেন। সেই জায়গায় শুক্রবার থেকে একজন এসির পাশাপাশি দুজন ইন্সপেক্টর, ১২ জন অফিসার এবং ৩০ জন পুলিশ কনস্টেবল মোতায়েন করা হয়েছে। হাইকমিশনের আশেপাশের সিসিটিভির সংখ্যা ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২২টি করা হয়েছে। অফিসের কাছে টহলদারি ভ্যানও মোতায়েন করা হয়েছে। আরও নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত গার্ড রেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। উপ হাইকমিশনের আশেপাশে যাতে কোনওরকমের বিক্ষোভ না হয় সে বিষয়ে স্থানীয় থানার পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, গোয়েন্দাদের আরো সক্রিয় হতে বলা হয়েছে।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনওরকমভাবে যাতে শান্তি ব্যাহত না হয় তার জন্য নিউমার্কেট, পার্ক স্ট্রিট এবং মুকুন্দপুরের মতো এলাকায় সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সোশ্যাল মাধ্যমে যাতে কোনও গুজব না ছড়ায় তা নিয়েও সাইবার সেলকে নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। এবিষয়ে এক সাইবার বিশেষজ্ঞ জানান, গত তিন দিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশ নিয়ে একাধিক ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পরিস্থিতির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার উপ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করে বিজেপি সমর্থিত একাধিক হিন্দু সংগঠন। সেই সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তখনই বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটে মাথা ফেটে যায় পুলিশ অফিসারের।
উপ হাইকমিশনে বিক্ষোভ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ সরকার। তাদের বক্তব্য, এরফলে ডেপুটি হাইকমিশনের সকল সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছেন। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পোড়ানো ও প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা পোড়ানোরও তীব্র নিন্দা জানায় বাংলাদেশ সরকার। তারপরেই বাড়ানো হল নিরাপত্তা।