মালবোঝাই কন্টেনার উল্টে গেল। আর তার জেরে এই দুর্ঘটনায় কলকাতা বন্দরে মৃত্যু হল একজনের। বৃহস্পতিবার মাঝরাতে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে এক ট্রেলার চালকের। তিন নম্বর ডকে মালবোঝাই করার কাজ চলছিল। তখন দু’টি কন্টেনার বহন করে এনেছিলেন ট্রেলার চালক রোহিত কুমার (২২)। আর প্রথম কন্টেনার থেকে যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বিঘ্নে মাল খালাস করা হয়েছিল। যদিও দ্বিতীয় কন্টেনার থেকে মাল খালাসের সময় ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ছটপুজোর রাতে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। কলকাতা বন্দরের তিন নম্বর ডকে মালবোঝাই করার সময় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেলার চালক রোহিত কুমারের মৃত্যু হয়েছে (২২)। এই পরিস্থিতিতে গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রোহিতের বাড়ি বিহারে। সেখানে ছটপুজোর দিনই শোকের খবর পৌঁছে গিয়েছে। পরিবারের সদস্যরা এখানে আসছেন। আজ, শুক্রবার ছটপুজোর আবহ রয়েছে। আজও অনেকে ছটপুজো ব্রত পালন করবেন। সেখানে রোহিতের পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: কলকাতা পুরসভায় জরুরি বৈঠক ডাকলেন মেয়র, অফিসারদের মধ্যে শুরু তুমুল চর্চা
অন্যদিকে এই মাল খালাস করার কাজের সময় আচমকাই পিছলে গিয়ে মালবোঝাই কন্টেনার পড়ে চালকের কেবিনে। সেখানে রোহিত কুমার উপস্থিত ছিলেন। তাঁর মারাত্মক আঘাত লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় রোহিত কুমারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকরা রোহিতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত রোহিতের বাড়ি বিহারের নওয়াদা জেলায়। সেখানে এখন আত্মীয়, বন্ধুরা এবং পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। কেমন করে এই দুর্ঘটনা ঘটল সেটা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এছাড়া এই দুর্ঘটনার সময় ওখানে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাঁদের সবার সঙ্গেই কথা বলছে পুলিশ। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করতেই এই পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। তাছাড়া একটা কন্টেনার খালাস করার সময় যে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা দরকার তা ছিল কিনা সেটা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলবে পুলিশ বলে সূত্রের খবর। আপাতত এটা দুর্ঘটনা বলেই দেখা হচ্ছে। তদন্তের গতি যেদিকে যাবে তখন সেভাবে এগোনো হবে।