ওমিক্রন রোগী দ্রুত চিহ্নিত করতে রাজ্যে জিনোম সিকুয়েন্সিংয়ের গতি বাড়ানোর দাবি তুলল বেসরকারি হাসপাতালগুলি। শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালের কর্তাদের বৈঠকে এই দাবি তোলেন চিকিৎসক রূপালি বসু। এদিন স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার নতুন বিধিনিয়ম বুঝিয়ে দেন রাজ্যের আধিকারিকরা। সঙ্গে টিকাকরণেও জোর দিতে বলেছেন তাঁরা।
করোনার ওমিক্রন রূপভেদ সনাক্ত করতে জিনোম সিকুয়েন্সিং করতে হয়। রাজ্যে সেই পরীক্ষা একংমাত্র হয় কল্যাণীতে। তাও আবার সপ্তাহে মাত্র ২ দিন। কলকাতায় রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে পাঠাতে হয় স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে। সেখান থেকে নমুনা যায় কল্যাণীতে। যার ফলে রিপোর্ট পেতে অনেক দেরি হয়ে যায়। ততদিন রোগীর চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভোগেন চিকিৎসকরা।
এদিন রূপালি বসু আরও বেশি জিনোম সিকুয়েন্সিংয়ের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেন। দরকারে রোজ পরীক্ষা করা যায় এমন পদ্ধতি চালু হওয়া উচিত বলে জানান তিনি।
বৈঠকে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে করোনা শয্যার সংখ্যা বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছে। সঙ্গে ১৫ – ১৮ বছর বয়সীদের জন্য পর্যাপ্ত টিকা মজুত রাখতে বলেছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।