২ বছর পর ফের রেড রোডে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে পুজো কার্নিভাল। এবারের এই শোভাযাত্রায় অংশ নেবে ১০০টি পুজো কমিটি। তার প্রস্তুতি নিয়ে নবান্নে বৈঠক করলেন তথ্য-সংস্কৃতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন এবং মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
নবান্ন সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশের 'ডেয়ার ডেভিল' বাহিনীর স্টান্ট দিয়ে শুরু হবে অনুষ্ঠান। তার পর থাকছে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাচ। চিকুনগুনিয়ার অসুস্থতা কাটিয়ে বৃহস্পতিবারই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরবেন ডোনা। ফলে ওই অনুষ্ঠান হবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকছে। কার্নিভালে শিল্পপতি ছাড়াও শহরের সব শিল্পপতি ও বণিকসভার সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সব দূতাবাসে আধিকারিকদের। রেড রোডের নিরাপত্তায় থাকবেন ২,৫০০ পুলিশ কর্মী। এ ছাড়া থাকছেন ১২০০ পুরকর্মী।
শনিবার সকাল সাড়ে এগারোটার মধ্যে পুজো কমিটিগুলিকে রিপোর্টিং করতে হবে। প্রতিটি ক্লাবকে ৩টি করে ট্যাবলো রাখার নির্দেশ। ক্লাবগুলির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ তিন মিনিট। গাড়ি-সহ প্রতিমার উচ্চতা ১৬ ফুটের মধ্যে রাখা বাধ্যতামূলক। ঢাকি-সহ ৫০জনের বেশি লোক নিয়ে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া যাবে না।
শুক্রবার জেলায় কার্নিভাল
কলকাতার পাশাপাশি শুক্রবার জেলায় জেলায় হবে পুজো কার্নিভাল। প্রতিটি জেলাতে একই দিনে হবে কার্নিভাল। এই কার্নিভাল সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করার জন্য নবান্ন থেকে ২৫ দফা গাইড লাইন দেওয়া হল জেলা প্রশাসনকে।
১ সেপ্টেম্বর দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতির সম্মান জানানোর দিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন কলকাতার পাশাপাশি জেলাগুলিতেও পুজো কার্নিভাল হবে। সেই মতো পুজো শেষ হওয়ার পরই এই অনুষ্ঠাষের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন।
গাইডলাইনে মূলত বলা হয়েছে, ১) পুজো কমিটিগুলি সঙ্গে কথা বলে কোনও মহাকুমা শহরে এই কার্নিভালের আয়োজন করতে হবে। ২) এতে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক পুজোগুলিকে চিহ্নিত করতে হবে এবং প্রয়োজনে বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান জন্য গঠিত জেলার বিচারকমণ্ডলীর মতামত নিতে হবে। ৩) পুজো কমিটিগুলি প্রতিমা বহনের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও করতে পারবে। ৪) প্রতিটি পুজো কমিটি মূল মঞ্চের সামনে দু'মিনিটের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও করতে পারবে। ৫) যে পুজো কমিটিগুলি কার্নিভালে অংশ নেবে তারা কোন ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনে অংশ নেবে তা আগে থেকে ঠিক করে নিতে হবে। ৬) রাস্তার দু'ধারে যাতে সাধারণ মানুষ দাঁড়াতে বসতে পারেন তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ৭) কার্নিভাল জন্য যাতে এলাকার যান চলাচল ব্যাহত না হয় সে দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মালবাজারের দুর্ঘটনার জন্য বাতিল হয়েছে জলপাইগুড়ির কার্নিভাল।