বিকেল থেকেই মুখ ভাড় ছিল। সন্ধ্যা নামতেই বৃষ্টি শুরু কলকাতার বিভিন্ন জায়গায়। উত্তর ও মধ্য কলকাতায় বৃষ্টি শুরু হয় আগে। কিছু পড়েই দক্ষিণ কলকাতাতেও বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। আজ মহাষষ্ঠীর সন্ধ্যায় মানুষের ঢল নামে কলকাতার রাজপথে। শনিবার হওয়ায় ভিড় যেন অনেকটাই বেশি ছিল। তবে এরই মাঝে বৃষ্টি নামে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায়। বিপাকে পড়েন বহু দর্শনার্থী। এদিকে বিভিন্ন রাস্তায় জল জমেছে। যানজট সৃষ্টি হয়েছে এর জেরে। (আরও পড়ুন: জারি হলুদ সতর্কতা, পুজোর মাঝেই নামবে প্রবল বৃষ্টি)
এদিকে কলকাতার পাশাপাশি, হুগলি, হাওড়া, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু এলাকায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে এই বৃষ্টি আগামী কয়েক ঘণ্টা চলবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে সপ্তমী থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এর জেরে পুজোর আনন্দ আরও মাটি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। করোনা কাঁটা দূর করে দুই বছর পর ফের একবার মণ্ডপে ঢোকার সুযোগ পেয়েছে বাঙালি। তবে সেই আনন্দের মুহূর্তে বাঁধ সাধতে কোমর কষছে আকাশ।
কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত বেহালার একটা অংশ, যাদবপুর, টালিগঞ্জ এবং উত্তর কলকাতার একটা বড় অংশে জল জমেছে। এদিকে কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং আগেই জানিয়েছিলেন, বৃষ্টিতে কলকাতার রাস্তায় জল জমলে তা সাফ করার জন্য প্রস্তুত তারা। আগে যা নিকাশি ব্যবস্থা ছিল তাতে ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে জল নামানো যেত। এখন সেই ক্ষমতা আরও অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। ১৫ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হলে একঘণ্টা জল জমবে। যদি লকগেট বন্ধ থাকে তাহলেও খুব বেশি হলে চার ঘণ্টা জল জমে থাকবে।
এদিকে রবিবার থেকে বুধবার অর্থাৎ ২ থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে সব জায়গাতেই বৃষ্টি হবে। এর মধ্যে রবিবার ২ অক্টোবর, অর্থাৎ সপ্তমী দুই চব্বিশ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতায় পুরো পুজোতেই বৃষ্টি হবে। এর মধ্যে কলকাতায় রবি-সোম, অর্থাৎ ২ এবং ৩ অক্টোবর (সপ্তমী, অষ্টমী) একটু বেশি বৃষ্টি হবে। ৩ অক্টোবর সোমবার পশ্চিমের জেলা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও দুই চব্বিশ পরগনায় ভারী বৃষ্টির হতে পারে। ৪ অক্টোবর মঙ্গলবার দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের দু-এক জায়গায় ভারী বৃষ্টি। ৫ অক্টোবরও পশ্চিমের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।