দক্ষিণ কলকাতার নাম করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নব নালন্দা স্কুলে দুর্ঘটনা ঘল সকাল সকাল। জানা গিয়েছে, স্কুল ভবনের উপর থেকে কাচ ভেঙে পড়ে পড়ুয়াদের ওপরে। এর জেরে জখম হয়েছে নবম শ্রেণির দুই ছাত্র। যদিও অভিভাবকদ ও পড়ুয়াদের দাবি, জখম হয়েছে মোট তিন পড়ুয়া। তাদের মধ্যে দু'জনের অবস্থা গুরুতর। এদিকে দুর্ঘটনার পর স্কুলে ঝামেলা শুরু হয়। স্কুলের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হন অভিভাবকরা। এহেন পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে যায় টালিগঞ্জ থানার পুলিশ। (আরও পড়ুন: ফের পারদ নামবে দক্ষিণবঙ্গে, কলকাতায় রাতে কেমন ঠান্ডা পড়বে আগামী ক'দিন?)
আরও পড়ুন: কুলতলিতে বন্দি বাঘ, দিনভর আতঙ্ক বাড়িয়ে গভীর রাতে ধরা দিল রয়্যাল বেঙ্গল
রোজকার মতো আজ সকাল ৭টা থেকে স্কুল শুরু হয়। প্রার্থনা শুরুর আগে স্কুল ভবনের ওপর থেকে কাচ ভেঙে পড়ে পড়ুয়াদের ওপরে। দাবি করা হয়, চারতলার ওপর থেকে একটি আস্ত কাচের প্যানেল ভেঙে পড়ে নীচে। তাতেই জখম হয় একাধিক পড়ুয়া। এই আবহে ২ ছাত্রকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। দুর্ঘটনার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অভিভাবকরা। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, হাসাপাতলে যে দুই ছাত্রকে নিয়ে যাওয়া হয়, তাদের মধ্যে একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে অপরজনের আঘাত গুরুতর। সে এখনও হাসপাতালেই ভরতি আছে। এরপরই আতঙ্কিত অভিভাবকরা স্কুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অভিযোগ, অভিভাবকদের কাছ থেকে ফি নেওয়া হলেও অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা মেলে না। অভিভাবকরাই পড়ুয়াদের হাসপাতালে নিয়ে যান। স্কুলের তরফে যোগাযোগ ও পরিকাঠামোর সমস্যাও রয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিক্ষোভরত অভিভাবকরা। শুধু আজকের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই নয়, এছাড়াও নানা বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ তুলছেন পড়ুয়াদের মা-বাবারা। অভিভাবকদের বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়ায় স্কুলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে যায় টালিগঞ্জ থানার পুলিশ। (আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৩ দিন ধরে নিখোঁজ হিন্দু ব্যবসায়ী, আতঙ্কিত পরিবার, তদন্তে পুলিশ)
আরও পড়ুন: দিল্লি নিবাসী হাসিনা কন্যার বিরুদ্ধেও মামলা বাংলাদেশে, কী অভিযোগ পুতুলের নামে?
অন্যদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, পড়ুয়ারা জানলা খোলার চেষ্টা করায়, কাচ ভেঙে পড়ে। এর পাশাপাশি, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অ্যাম্বুল্যান্স আসতে দেরি হয়েছে বলে দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের। এদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, ভবনটি নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। তাই রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তাঁরা। এদিকে অভিভাবকদের বিক্ষোভের আবহে আহত পড়ুয়াদের দেখতে হাসপাতালে যান স্কুলের প্রিন্সিপাল। এদিকে টিভি৯ বাংলার রিপোর্ট অনুযায়ী, আহত ছাত্রের একজনকে ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, দ্বিতীয়জনকে ভর্তি করা হয়েছে এমআর বাঙুর হাসপাতালে। এর মধ্যে এক পড়ুয়ার মাথায় লেগেছে, তার মাথায় ৪০টা সেলাই পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।