পাঁচজন বন্ধু মিলে পুরী বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানের হোটেলের চারতলার বারান্দা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল কলকাতার বাগুইআটি এলাকার যুবকের। বারান্দা থেকে পড়ে যাওয়ার পর সি–বিচ পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চয়ন সরকার নামে ওই যুবককে ভুবনেশ্বরের এইমস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই ওই যুবক মারা গিয়েছেন। মৃত যুবকের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা দায়ের করেছে ওড়িশা পুলিশ।
পরিবারের ঠিক অভিযোগ কী? মৃত চয়ন সরকারের (২৫) বাবা সঞ্জীব সরকার ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে পুরীতে পৌঁছয়। সেখানে গিয়ে বন্ধুদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। এই পরিস্থিতিতে চয়নের বন্ধুরা পুরী থানাকে কিছু না জানিয়েই কলকাতা ফিরে আসেম। আর চয়নের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ওড়িশা পুলিশ এখানে আসে। তাঁরা স্থানীয় উল্টোডাঙা থানায় বার্তা দিলে অরিজিৎ নন্দী নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। এই অরিজিৎই গাড়ি চালিয়ে পুরী নিয়ে গিয়েছিল সবাইকে। অরিজিতকে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে তাঁকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
ঠিক কী বলছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবক চয়ন সরকার বারান্দা থেকে পড়ে গিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু তিনি নিজে পড়ে গিয়েছিলেন নাকি তাঁকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে। জেরা করা হবে বন্ধুদের। কোনও বন্ধুর সঙ্গে কী বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন চয়ন? ওড়িশা পুলিশের কাছ থেকে স্পষ্ট জবাব মেলেনি।
চয়নের পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার চয়ন–সহ পাঁচজন বন্ধু পুরীতে যায়। সেখানে হোটেলের চারতলায় রুম ভাড়া নেওয়া হয়। আর বৃহস্পতিবার চারতলা থেকে পড়ে যায় চয়ন। হোটেল কর্তৃপক্ষ অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে আনলে পুরী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চয়নকে। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে ভুবনেশ্বর এইমস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে চয়নের। বন্ধুরাই চয়নকে খুন করেছে বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।