আল কায়েদা জঙ্গি সন্দেহে দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে মনউদ্দিন খান ওরফে মনিরুদ্দিন নামে মেধাবী এক কলেজছাত্রকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ এবিষয়ে ‘পশ্চিমবঙ্গ বারুদের স্তুপের উপর বসে আছে’ বলে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেন। তারপরেই কেন্দ্রকে পাল্টা কটাক্ষ করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। একের পর এক জঙ্গি ধরা পড়া নিয়ে কেন্দ্রের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকেই দায়ী করলেন কুণাল।
আজ সোমবার ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘পশ্চিমবাংলায় উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ-সহ আরও বেশ কয়েকটি জেলা জঙ্গিদের ঘাঁটি হয়ে গিয়েছে। পুলিশ সব জানে কিন্তু রাজনৈতিক কারণে কিছু করছে না।’ তাঁর আরও কটাক্ষ, ‘একাধিক জঙ্গি ধরা পড়েছে। বিভিন্ন আইনি বেআইনি মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে থাকছে আর এই ধরনের কাজ করছে। এ রাজ্য থেকে জঙ্গিরা অন্য রাজ্যে গিয়ে অপারেশন চালাচ্ছে। আবার তাঁরা এখানে পালিয়ে আসছে। আবার বাংলাদেশ থেকেও এখানে আসছে। সেই জন্য পশ্চিমবঙ্গ বারুদের স্তূপের উপর বসে আছে। আর এই সমস্ত অস্ত্র রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
এর পাল্টা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘সীমান্ত পার করে এ রাজ্যে জঙ্গি ঢুকছে। সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে থাকে বিএসএফ। সেখানে পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে না। তাহলে রাজ্যে জঙ্গি ঢোকার আসল দায় কাদের উপর?’ উল্লেখ্য, এর আগেই জঙ্গি সন্দেহে পেশায় শিক্ষক আজিজুল হককে গ্রেফতার করেছিল এসটিএফ। তাঁকে জেরা করেই মনউদ্দিনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, ওই যুবক আল কায়দার হয়ে প্রচার করত।