খড়গপুরের তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে বিজেপি বিধায়ক তথা অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলকে আক্রমণ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, কেউ তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করলেই তাঁকে চোর ও দুর্নীতির ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এনিয়ে পালটা হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। হিরণকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘ছবি হিট না হওয়ায় গা জ্বলছে।’ শুধু তাই নয়, গা জ্বালা কমাতে তিনি হিরণকে বার্নল ব্যবহার করারও পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কী ছবি করেছে? চিনি না তেমন- টলিউড বিতর্কে হিরণকে পাত্তা দিতে অস্বীকার চিরঞ্জিতের
ঠিক কী বলেছেন কুণাল ঘোষ?
হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ভ্যাকসিন’ মন্তব্যের পরে কুণাল ঘোষ হিরণকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমার হিরণের কাছে একটাই বক্তব্য, যে হিরণ তোমার এই চুরি সম্পর্কে এত গভীর জ্ঞান। তাহলে নারদে সিবিআইয়ের এফআইআরে শুভেন্দু অধিকারীর নাম রয়েছে। সেই শুভেন্দু অধিকারী হল চোর। তোমার দল শুভেন্দুর ভিডিয়ো রিলিজ করে চোর দাবি করে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছিল। সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিল বিজেপি। সিবিআই এফআইআর করে তাঁর নামে চুরির অভিযোগ এনেছিল। তাহলে তাঁকে তোমার দলের নেতা বললে কেমন লাগছে?’ এরপরেই হিরণকে পরামর্শ দিয়ে কুণাল বলেন, ‘তুমি আগে নিজের ঘর সামলাও। ঘরের নেতাটাকে আগে অ্যারেস্ট করাও। তারপর বাইরের কথা বল। কাঁচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়ো না হিরণ। তোমার অনেকদিন ধরে কোনও হিট ছবি হয়নি তাই তোমার গা জ্বলছে। আসলে তোমার পাশে চোর শুভেন্দু রয়েছে। সেগুলি আগে দেখ। আর দু একটা ছবি হিট করানোর চেষ্টা কর। না হলে তোমার এই ধরনের গা জ্বলন থাকবে। তাহলে তুমি বার্নল লাগাও।’
কী বলেছিলেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়?
খড়্গপুরের তারাপীঠ মন্দিরে শুক্রবার পুজো দিতে গিয়ে হিরণ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘কেউ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলে তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেস একটা ভ্যাকসিন দেয়। সেই ভাকসিনটার নাম হচ্ছে চোর এবং দুর্নীতি ভ্যাকসিন। আর ভ্যাকসিন পাওয়ার পর তাঁরা সেই চোর হয়ে যায়। দীপক অধিকারি , সায়নী ঘোষ ও নুসরত জাহান এরাও সবার কাছ থেকে টাকা নেওয়া শুরু করেছে।’ অর্থাৎ হিরণের বক্তব্য হলে, কেউ তৃণমূলে যোগ দিলেই দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
এর পাশাপাশি এ দিন রাজ্যপালকে মও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আক্রমণ করেন কুণাল ঘোষ। রাতে অ্যাকশন করার হুমকি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেই প্রসঙ্গে কুণাল কোষ বলেন, ‘কেউ জরুরী প্রয়োজন ছাড়া রাতে বেরোয় না।’ রাতে বেরোলে সে ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ হয় কিনা তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল। তিনি বলেন, ‘রাজ্যপাল অধিকার অপব্যবহার করছেন।’