SSC দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলের ঘরোয়া কোন্দল আরও চরমে পৌঁছল। তাঁকে ‘মন্ত্রিসভার সদস্য নয়’ বলায়, পালটা ফেসবুক লাইভ করলেন কুণাল ঘোষ। কোনওক্রমে কান্না চেপে বললেন, ‘আমি মন্ত্রিসভার সদস্য নই সেকথা আমাকে মনে করিয়ে দিতে হবে না।’
এদিন কুণাল বলেন, ‘মাননীয় ববি হাকিম বলেন, কুণাল মন্ত্রিসভার কেউ নয়। ফলে মন্ত্রিসভায় কী হচ্ছে না হচ্ছে তা বাইরে কারও পক্ষে জানা সম্ভব নয়। আমি ববিদার বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছি। আমি তো নিজেই বলেছি, আমি মন্ত্রিসভার কেউ নই, আমি সরকারের কেউ নই। দলের মুখপাত্র হিসাবে আমি রাজনৈতিক কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি। কিন্তু সরকারি ব্যাপারের খুঁটিনাটি আমার পক্ষে জানা সম্ভব নয়। তাই আমি বলেছি, দলের যিনি মহাসচিব ও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তাঁর উচিত এই ব্যাপারগুলে সাংবাদিক বৈঠক করে স্পষ্ট করা। কী দোষ করেছি আমি এই কথা বলে?’
এর পরই কার্যত গলা ধরে আসে কুণালের। বলেন, ‘আমি দলের একজন সৈনিক। আমি মন্ত্রী নই। আমি সরকারের কেউ নই। আমি জানি। আমাকে মনে করিয়ে দেওয়া কোনও প্রয়োজন নেই’।
নাম না করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানিয়ে কুণাল বলেন, ‘দলের কোনও সাংসদ, বিধায়ক, কাউন্সিলর যেন দলের প্রার্থী হিসাবে আমার নাম প্রস্তাব না করেন। আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত নই। আমাকে কেউ মনে করিয়ে দেবেন না যে আমি মন্ত্রী নই। আমার কোনও হ্যাংলামি নেই। মন্ত্রী না হতে পারলে যাদের জীবন অসম্পূর্ণ এসব তাদের কাছে বড় ব্যাপার। ঈশ্বর জীবনে যা স্বর্গ – নরক দেখিয়েছে তাতে আমি মন্ত্রী, এমপি, এমএলএর ঊর্ধে উঠে গেছি’।
এমনকী ফিরহাদকে পার্থবাবুর ভাড়াটে সৈন্য বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কারও কোনও অভিযোগ থাকলে তার জবাব আমি দেব। কিন্তু যেদিন দেখব অতিথি শিল্পী বা ভাড়াটে সৈন্য দিয়ে আমাকে ডিফেন্ড করাতে হচ্ছে তার থেকে থুতু ফেলে ডুবে মরা ভালো’।