‘সূত্রের খবর: বিচারে ধর্ষণ ও খুনে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রাইয়ের ফাঁসির আদেশ হলে ঊর্ধ্বতর আদালতে ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে সঞ্জয়ের পক্ষে লড়বেন সিপিএমের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।’ লিখেছেন কুণাল ঘোষ।
তবে এনিয়ে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এক্স হ্যান্ডেলে বিস্ফোরক পোস্ট করেছেন কুণাল। বরাবরই তিনি নানা ধরনের পোস্ট করেন। এবার এটা তাঁর নবতম সংযোজন। এদিকে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। তারপর তাকে হেফাজতে নেয় সিবিআই। এরপর সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দিয়েছে। এদিকে সম্প্রতি আদালত থেকে সংশোধনাগারে ফেরার পথে মুখ খুলেছিলেন সঞ্জয়। প্রিজন ভ্যানের ভেতর থেকে চিৎকার করছিলেন তিনি।
সেই ভিডিয়ো এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিল বঙ্গ সিপিএম। আর তারপরই এনিয়ে নানা কথা উঠতে থাকে।
সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে প্রিজন ভ্যানের জানালা থেকে চিৎকার করছে সঞ্জয়। সে বলছিল, ‘আমি কিন্তু রেপ আর মার্ডার করিনি। আমায় নীচে নামিয়ে দিল। আমার কথা শুনছে না। পুরো সরকার আমায় ফাঁসাচ্ছে। আমি এতদিন চুপ ছিলাম। আমায় সব জায়গায় ভয় দেখাচ্ছে তুমি কিছু বলবে না, তুমি কিছু বলবে না। এমনকী ডিপার্টমেন্ট আমায় ভয় দেখিয়েছে…আমি পুরোপুরি নির্দোষ। আমায় ফাঁসানো হয়েছে।’ সঞ্জয়ের এই ভিডিয়ো পোস্ট করেছিল সিপিএম। তারপরই বিরাট শোরগোল পড়ে যায় সোশ্য়াল মিডিয়ায়।
এরপর নেটিজেনরা নানা জনে নানা কথা বলেছিলেন। সেই প্রসঙ্গে বিকাশের কথা বলেও কটাক্ষ করেছিলেন কেউ কেউ ।
এক নেটিজেন লিখেছিলেন, আপনাদের বড় আইনজীবী বিকাশকে দাঁড় করানো হোক সঞ্জয়য়ের জন্য় এত যখন চিন্তা আপনাদের। অপর এক নেটিজেন লিখেছেন, সিপিএম বিজেপির কাছে সিবিআই বিশ্বাসযোগ্য় নয়। বিশ্বাসযোগ্য লোক হল সঞ্জয় রায়। বিকাশ উকিলকে পাঠিয়ে দিন ওকে বাঁচানোর জন্য। সিবিআই কি করছে? সরকার আর কলকাতা পুলিশ ফাঁসালো আর ওরাও ফাঁসাতে দিল। বাজে বকারও একটা শেষ আছে। অপর একজন লিখেছেন ধনঞ্জয়-ও কিন্তু দাবি করেছিলেন যে তিনি নির্দোষ। একাধিক নেটিজেন ধনঞ্জয়ের প্রসঙ্গ তুলে আনেন। প্রসঙ্গত ধর্ষণকাণ্ডের সাজায় ধনঞ্জয়কেও ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল। অপর একজন লিখেছেন, ধনঞ্জয়কে কে ফাঁসিয়েছিল সিপিএম? কারণ ধনঞ্জয় নিজেও বলেছিল আমি গরীব বলে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে আমি কিছু করিনি। অপেক্ষায় রইলাম।
আর কুণাল ঘোষ এবার বিস্ফোরক পোস্ট করে কার্যত সেই বিকাশ ভট্টাচার্যকে খোঁচা দিলেন।