আসানসোলে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনজনের মৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ঘটনা নিয়ে তিনি সরাসরি শুভেন্দু অধিকরীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি এই ঘটনায় বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নামও টেনে আনেন। বিরোধী দলনেতাকে আক্রমণ করে তৃণমূল নেতা বলেন, ‘কম্বল দেওয়ার নাম করে গরিব মানুষদের ডেকে আনা হয়েছিল। সেখানে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে নিরাপরাধ তিনজনের। এর দায় সম্পূর্ণভাবে শুভেন্দুর।’
এদিকে সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী আসানসোলের ঘটনা নিয়ে এরপর কুণাল বলেন, ‘শুভেন্দুকে এমন আইন ভাঙার, আইনশৃঙ্খলা নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকারটা কে দিচ্ছে? ওর বিরুদ্ধে এফআইআর করা যাবে না, কে বলছে? বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। ওকে (শুভেন্দু) রক্ষাকবচ দিয়ে রেখেছেন। সে তো নিজে ভাবছে যা ইচ্ছে করব। তাই পুলিশকে না জানিয়ে এত বড় সভার আয়োজন করছে। মৃত্যুর জন্য দায়ী কে? শুভেন্দু, বিজেপি নাকি রক্ষাকবচ দিয়ে শুভেন্দুর মধ্যে এই বেপরোয়া মনোভাব তৈরি করা রাজাশেখর মান্থা? তাঁকেই বা কেন দায়ী করা হবে না, সেটা ভেবে দেখা দরকার।’
এদিকে শুভেন্দুর ‘ডিসেম্বর ধামাকা’ হুমকি প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, ‘ও বলেছিল ১২ ডিসেম্বর। সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের রহস্যমৃত্যু হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর আবার আসানসোলে এই ঘটনা ঘটল। এটাই কি বলতে চেয়েছিল বিরোধী দলনেতা?’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ডিসেম্বর ধামাকা নিয়ে শুভেন্দুকে খোঁচা দিয়েছেন। তিনি একটি টুইট করে লেখেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী ১২ তারিখ, ১৪ তারিখ ও ২১ তারিখ আমাদের ডিসেম্বর ধামাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ১২ তারিখ সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যু হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে তাঁর কারণে তৈরি হওয়া বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য তিন নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২১ ডিসেম্বর কি তাহলে আরও মর্মান্তিক কিছু ঘটতে চলেছে?’